হিল ভয়েস, ৩ আগস্ট ২০২১, বান্দরবান: বান্দরবান পার্বত্য জেলাধীন বান্দরবান সদর উপজেলার ডুলুপাড়া এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ দল এক নিরীহ জুম্ম যুবককে আটক করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর পরপরই সেনাবাহিনী আটককৃত যুবককে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বলে আখ্যায়িত করে তার কাছ থেকে দেশীয় বন্দুক ও ১০ হাজার টাকাসহ চাঁদার কাগজপত্র পাওয়া গেছে বলে মিথ্যা প্রচার করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
আটককৃত যুবকের নাম সুমন চাকমা (২৬)। গতকাল ২ আগস্ট ২০২১ সন্ধ্যার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সুমন চাকমাকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃত সুমন চাকমাকে বান্দরবার সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রথমে সুমন চাকমাকে আটক করে। এরপর সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, আটককৃতের দেয়া তথ্য অনুসারে রাতে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের সেনা জোন হতে একটি বিশেষ টহল এবং সদর থানা পুলিশ যৌথভাবে ডুলুপাড়া এলাকার কেমবা পাড়ার নিকটে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে তারা একটি দেশীয় বন্দুক, চাঁদা সংগ্রহের রশিদ বই, ১টি মোবাইল সেট, ২টি মানিব্যাগ, চাঁদা আদায়ের নগদ ১০ হাজার টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসীর বলেন, সেনাবাহিনী কর্তৃক দেশীয় বন্দুক, ১০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন কাগজপত্র পাওয়ার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি সেনাবাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অভিযানের নামে নিরীহ জুম্মদেরকে আটক ও নিপীড়নের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।