হিল ভয়েস, ১১ জুলাই ২০২১, রাঙ্গামাটি: সেনামদদপুষ্ট মগপার্টি সন্ত্রাসীদের কর্তৃক রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন কাপ্তাই উপজেলার রাইখালি ইউনিয়ন এলাকা থেকে এবার এক নিরীহ জুম্ম গ্রামবাসী অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত পরশু (৯ জুলাই ২০২১) পঞ্চাশোর্ধ এক জুম্ম গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যার একদিন পরই সন্ত্রাসীরা একই এলাকা থেকে এই অপহরণ ঘটনা ঘটাল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ১০ জুলাই ২০২১ মগপার্টি সন্ত্রাসীদের একটি দল কাপ্তাই উপজেলার রাইখালি ইউনিয়নের ভালুক্যা তিনছড়ি মারমা পাড়া থেকে পাইহুইকুই অং মার্মা (৫০), পীং-মৃত হুইকুই অং মার্মা নামে এক নিরীহ জুম্ম গ্রামবাসীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন গ্রামবাসীর তথ্য অনুসারে, অপহৃতকে রাজস্থলী উপজেলা সদরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ভালুক্যা তিনছড়ি মারমা পাড়া নামে যে গ্রাম থেকে পাইহুইকুই অং মার্মাকে অপহরণ করা হয়, সেই গ্রামেই গত ৮ জুলাই ২০২১ অংথোয়াইচিং মারমা নামে পঞ্চাশোর্ধ এক নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে মগ পার্টির সন্ত্রাসীরা।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহৃত পাইহুইকুই অং মার্মা’র মুক্তি পাওয়ার খবর এবং তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা জানা যায়নি। অপহরণের পর পাইহুইকুই অং মার্মা’র পরিবার গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুলাই ২০২১ সকাল আনুমানিক ৭.০০ টার দিকে মংখ্যাউচিং মারমার নেতৃত্বে মগ পার্টির ২০/২২ জনের একটি দল অংথোয়াইচিং মারমা (৫২) নামে এক জুম্মকে তার রাইখালি ইউনিয়নের গবছড়া পাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী ভালুক্যা মারমা পাড়ায় নিয়ে যায়। এক পর্যায় সন্ধ্যার দিকে মগপার্টির সন্ত্রাসীরা অংথোয়াইচিং মারমাকে গুলি করে হত্যা করে।
পরে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.০০ টার দিকে রাজস্থলী সেনা ক্যাম্পের একদল সেনা সদস্য মগ পার্টির কাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করে রাজস্থলী সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এরপর সেনাবাহিনী লাশটি কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা থানায় হস্তান্তর করে।
এদিকে ঘটনার পরপরই সেনামদদপুষ্ট অনলাইন পত্রিকা হিসেবে পরিচিত পার্বত্য নিউজ.কম-এ উক্ত ঘটনাটি মগপার্টি ও জেএসএস(সন্তু) গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে বলে প্রচার করে। পরে সিএইটিনিউজ২৪.কম সহ কয়েকটি অনলাইন মাধ্যমেও ঘটনাটিকে সেভাবে তুলে ধরে।
উক্ত গ্রামবাসীরা ঘটনাটিকে সেনাবাহিনী কর্তৃক দীর্ঘদিন ধরে মগ পার্টিকে জেএসএস ও চুক্তির সমর্থক জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার ফল বলে অভিহিত করেন।