হিল ভয়েস, ১২ জুন ২০২১, বিশেষ প্রতিবেদক: পাহাড়ের নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণের আজ ২৫ বছর। ১৯৯৬ সালের এই দিনেই দিবাগত রাত আনুমানিক ১:৩০ টা হতে ২:০০ টার মধ্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউলাল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত কর্তৃক নির্মমভাবে অপহরণের শিকার হন। অপহরণকারীরা এসময় কল্পনার দুই বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা (কালীচরণ) ও লাল বিহারী চাকমা (ক্ষুদিরাম)-কেও বাড়ির বাইরে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে।
ঘটনার পর কল্পনার বড় ভাইয়েরা স্পষ্টতই টর্চের আলোতে অপহরণকারীদের মধ্যে তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী কজইছড়ি সেনাক্যাম্পের কমান্ডার লেঃ ফেরদৌস (সম্পূর্ণ নাম মো: ফেরদৌস কায়ছার খান) এবং তার পাশে দাঁড়ানো ভিডিপি সদস্য মো: নূরুল হক ও মো: সালেহ আহম্মদকে চিনতে পারেন বলে জানান।
ঘটনার পর ভোর হওয়ার সাথে সাথে সকাল প্রায় পৌনে ৭ টায় কল্পনার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দীপ্তিমান চাকমাকে নিয়ে বাঘাইছড়ি থানার (বর্তমানে উপজেলা) টিএনও (বর্তমানে ইউএনও) এর নিকট গিয়ে কল্পনা চাকমা অপহরণ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন এবং টিএনও তা রেকর্ডভুক্ত করেন। এরপর কালিন্দী কুমার চাকমা অপহরণের অভিযোগ এনে একই বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট লিখিত এজাহার দাখিল করেন। এই অভিযোগ বাঘাইছড়ি থানায় জি.আর মামলা নং-১৯৪/১৯৯৬ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
আরও উল্লেখ্য যে, কল্পনা অপহরণ ঘটনার প্রতিবাদে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে ডাকা ২৭ জুন ১৯৯৬ অর্ধদিবস সড়ক অবরোধ চলাকালে আবার বাঘাইছড়ি সেনা কর্তৃপক্ষের মদদে স্থানীয় ভিডিপি ও সেটেলারদের সাম্প্রদায়িক হামলায় বাবুপাড়া ও মুসলিম ব্লক এলাকায় গুলি করে রূপন চাকমাকে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুকেশ, মনোতোষ ও সমর বিজয় চাকমাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই রূপন, সুকেশ, মনোতোষ ও সমর বিজয় চাকমাকে হত্যাকারীদেরও কোন বিচার হয়নি।
কল্পনা অপহরণ ঘটনাটি দ্রুত অঞ্চল ছাড়িয়ে জাতীয় পর্যায়ে, এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তীব্র প্রতিবাদের মুখোমুখি হয় এবং নিন্দিত হয়। দেশের ও বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করে কল্পনা চাকমাকে দ্রুত উদ্ধার ও ঘটনার তদন্ত দাবি করেন। সেই সময় প্রথমে তৎকালীন সেনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অত্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ঘটনাটিকে ‘গুজব’, ‘প্রেমঘটিত ব্যাপার’, ‘ত্রিপুুরায় দেখা গেছে’ বলে অপপ্রচারের চেষ্টা চালানো হয়।
অপহরণ ঘটনার পর দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ ও নিন্দার মুখে সরকার কিছুদিনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও বিগত ২৫ বছরেও সরকার সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি।
এদিকে কালিন্দী কুমার চাকমা কর্তৃক দায়েরকৃত কল্পনা চাকমা অপহরণের মামলাটি ১৭ জানুয়ারি ১৯৯৭ তারিখে জেলা গোয়েন্দা শাখা, রাঙ্গামাটি’র নিকট হস্তান্তর করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখ হতে মামলার তদন্ত কার্যক্রম পুনরায় বাঘাইছড়ি থানায় স্থানান্তর করা হয়।
কল্পনা চাকমা অপহরণের ঘটনাটি বাঘাইছড়ি থানায় মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হওয়ার প্রায় ১৪ বছর পর ২০১০ সালের ২১ মে ঘটনার বিষয়ে পুলিশের চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হলেও সেই রিপোর্টে অভিযুক্ত ও প্রকৃত দোষীদের সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়। ফলে বাদী কালিন্দী কুমার চাকমা আদালতে উক্ত চূড়ান্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করেন। এরপর ২ সেপ্টেম্বর ২০১০ আদালত বাদীর দাখিলকৃত নারাজির উপর শুনানী শেষে মামলার বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেন। এর দুই বছর পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ জনৈক তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক চট্টগ্রাম জোন সিআইডির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়। উক্ত সিআইডি তদন্ত রিপোর্টও চরম ব্যর্থতার সাথে অপহৃত কল্পনার কোন হদিশ না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে। সঙ্গত কারণে বাদী কালিন্দী কুমার চাকমা আবারও উক্ত সিআইডি তদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।
এমতাবস্থায় গত ১৬ জানুয়ারি ২০১৩ রাঙ্গামাটিস্থ জজ আদালত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপারকে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার দায়িত্ব প্রদান করেন। এরপর গত ২০ জুলাই ২০১৪ রাঙ্গামাটির তৎকালীন পুলিশ সুপার আমেনা বেগম কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার উপর রাঙ্গামাটির চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ‘তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন’ দাখিল করেন। নামে এটি ‘তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন’ হলেও বাস্তবে তদন্তে কোন অগ্রগতি দেখা যাইনি। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার আমেনা বেগম অন্যত্র বদলী হয়ে গেলে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ মামলার তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করলেও তিনিও গতানুগতিকভাবে তদন্ত কাজ চালিয়ে যান। এরপর ৩০ জানুয়ারি ২০১৫ এই মামলার ৩৯তম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেন পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান।
কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনা ও মামলার বিশ বছর ও পাঁচ মাসের অধিক সময় পর ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ মামলার ৩৯তম তদন্ত কর্মকর্তা রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার তাঁর চূড়ান্ত রিপোর্ট রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কগনিজেন্স আদালতে দাখিল করেন। তাঁর রিপোর্টেও পূর্বের রিপোর্টের বক্তব্যগুলো চর্বিতচর্বন করে প্রকৃত পক্ষে দোষীদের ও অভিযুক্তদের আড়াল করার অপচেষ্টা চালানো হয় এবং ‘…সার্বিক তদন্তে লেঃ ফেরদৌস, ভিডিপি নূরুল হক ও পি.সি সালেহ আহমেদের উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি’ বলে দাবি করা হয়। এমনকি রিপোর্টে ‘কল্পনা চাকমা অপহৃত হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে সত্য বলিয়া প্রমাণিত হয়’ বলে স্বীকার করা হলেও ‘দীর্ঘ ২০ বৎসর ৩৯ জন তদন্তকারী অফিসারের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও কল্পনা চাকমাকে অদ্যাবধি উদ্ধার করা সম্ভব হয় নাই এবং অদূর ভবিষ্যতেও সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ’ বলে দায়িত্বহীন ও হতাশাব্যঞ্জক বক্তব্য প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ‘ভবিষ্যতে কল্পনা চাকমা সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া গেলে বা তাহাকে উদ্ধার করা সম্ভব হইলে যথানিয়মে মামলাটির তদন্ত পুনরুজ্জীবিত করা হইবে’ বলে প্রকারান্তরে মামলার কার্যক্রম বা তদন্ত কাজ বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়।
কালিন্দী কুমার চাকমা আবারও উক্ত ৩৯তম তদন্তকারী কর্মকর্তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন এবং মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করে আদালতে নারাজি আবেদন দাখিল করেন এবং উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। এবিষয়ে আদালত ৮ জুন ২০১৭ প্রথম শুনানির আয়োজন করেন এবং নারাজির উপর পুলিশের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর থেকে আদালত একের পর এক শুনানির দিন ধার্য করলেও পুলিশ এ বিষয়ে বার বার প্রতিবেদন দাখিলে অপারগতা প্রকাশ করে সময় চাইতে থাকেন।
বলাবাহুল্য, বর্তমান সময়ে এই ২৫ বছরেও কল্পনা চাকমা অপহরণের মামলাটির বিষয়ে কোনো অগ্রগতির কথা জানা যায়নি। প্রশাসন, গোয়েন্দা বিভাগ ও বিচার বিভাগ কল্পনা চাকমার হদিশ দিতে এবং কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার বিচার করতে ব্যর্থই শুধু নয়, তারা চারম দায়িত্বহীনতা, পক্ষপাতিত্বমূলক ও বর্ণবাদী ভূমিকার পরিচয় দিয়েছে। অপরদিকে রাষ্ট্র ও সরকারও নির্লিপ্ত ও নির্বিকার ভূমিকা নিয়েছে।
কল্পনা চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের সংগ্রামী আদিবাসী জুম্ম নারী সমাজের এক অগ্রসৈনিক। পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিচালিত সকল জাতিগত সহিংসতা, নির্যাতন, নিপীড়ন, শোষণ, বৈষম্য, বঞ্চনা, নারী ধর্ষণ, অপহরণ ও হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এক কন্ঠস্বর। তিনি ছিলেন প্রগতিশীল আদর্শে বিশ্বাসী এবং স্বজাতির ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিবেদিত এক কর্মী। তাই কল্পনার চেতনার মৃত্যু নেই। কেননা তিনি ন্যায়ের পক্ষে, ন্যায্য অধিকারের পক্ষে ও প্রগতির পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়েই এই অপহরণের শিকার হন।
কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনাটি একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যু। ২৫ বছরেও এই রাষ্ট্র, সরকার, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ, সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগ, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কেউই কল্পনা চাকমার হদিশ দিতে পারেনি, অভিযুক্ত অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে পারেনি, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারেনি, তথা এই রাষ্ট্র কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার সুবিচার নিশ্চিত করতে পারেনি। শুধু কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনা নয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধান এবং পার্বত্য অধিবাসীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরও তা যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় সেটেলার বাঙালি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা বহু জুম্ম নারী যৌন নিপীড়ন ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এসব ঘটনায় খোদ রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা সৃষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম নারীদের চরম অমর্যাদা, নিপীড়ন ও নিরাপত্তাহীনতার বাস্তবতা ফুটে উঠে। এই ঘটনা এ্ দেশের অন্যায়-অবিচার ও অপরাধের বিচারহীনতার অপসংস্কৃতিকেই অত্যন্ত প্রকটভাবে ফুটিয়ে তুলেছে এবং জাতিগত সংখ্যালঘু আদিবাসীদের প্রতি চরম নির্যাতন ও বৈষম্যকে উন্মোচিত করেছে। রাষ্ট্রকে অবশ্যই একদিন এর জবাব দিতে হবে।
কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনাটি পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম নারীর উপর সংঘটিত একমাত্র সহিংস ঘটনা নয়। এটি যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জুম্মদের উপর পরিচালিত জাতিগত নিপীড়ন ও সহিংসতারই এক জঘন্যতম চিত্র। স্বাধীনতার পর থেকে সরকারের উগ্রজাতীয়তাবাদী, সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী নীতির কারণে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও সেটেলার বাঙালীদের কর্তৃক এ পর্যন্ত শত শত জুম্ম নারী খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, অপহরণের পর জোরপূর্বক বিবাহ, হয়রানিমূলক মামলা ও নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছেন। কিন্তু এ সমস্ত ঘটনার কোনটিরই যথাযথ বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নি। পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত সংশ্লিষ্ট পরিবারকে। ফলে বারবার এ ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটে চলেছে। আর এ সমস্ত ঘটনার জন্য রাষ্ট্র, সরকার, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনী কেউ এর দায়-দায়িত্ব এড়াতে পারে না। তাই, কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার যথাযথ তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের শাস্তি প্রদান অত্যন্ত জরুরী।
যতদিন কল্পনা চাকমার হদিশ মিলবে না, কল্পনা চাকমা অপহরণের যথাযথ বিচার নিশ্চিত হবে না এবং দোষীদের উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে না, ততদিন পর্যন্ত সরকার, সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, রাষ্ট্র এর দায়মুক্ত ও কলঙ্কমুক্ত হতে পারবে না। আজকে যারা দায়িত্বে থেকেও দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন তাদেরকেও একদিন নিশ্চয়ই ইতিহাসের কাঠগোড়ায় দাঁড়াতে হবে।