হিল ভয়েস, ১২ মে ২০২১, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাধীন গুইমারা উপজেলা সদর এলাকায় এক সেটেলার বাঙালি যুবক কর্তৃক স্কুল পড়ুয়া এক জুম্ম ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গুইমারা থানা পুলিশ প্রথমে এ বিষয়ে মামলা নিতে না চাইলেও পরে ভুক্তভোগীদের চাপে মামলা গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কর্তৃক অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।
ধর্ষণের চেষ্টাকারীর পরিচয় সাহাদাত হোসেন (১৬), পীং-মনির হোসেন, গ্রাম-বড় পিলাক এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মে ২০২১ সকাল আনুমানিক ৮:৩০ টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় গুইমারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ওই দশম শ্রেণির মারমা ছাত্রী স্থানীয় এক শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট পড়তে হেঁটে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে শনখলা পাড়া ও বড় পিলাক নামক এলাকার মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছলে সাহাদাত হোসেন নামের সেটেলার বাঙালি যুবকটি সেখানে এসে উপস্থিত হয়। এরপর সাহাদাত হোসেন পথ রোধ করে মারমা ছাত্রীটিকে টাকার লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। এসময় মারমা ছাত্রীটি রাস্তা ছেড়ে দে নতুবা মার দেব, না হলে আশেপাশের লোকজন ডাকব বলে হুমকি দেয়।
এরপর সেটেলার বাঙালি যুবকটি মারমা ছাত্রীটির মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে টেনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় ছাত্রীটি মুখ ছাড়িয়ে নিয়ে জোরে চিৎকার করতে থাকে। এক পর্যায়ে ছাত্রীটির চিৎকার শুনে আশেপাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া পরিচিত দুই গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে। এসময় সেটেলার বাঙালি যুবকটি দ্রুত পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রীটির অভিভাবকরা গুইমারা থানায় গিয়ে এই ধর্ষণের চেষ্টার বিরুদ্ধে মামলা করার চেষ্টা করে। কিন্তু গুইমারা থানার ওসি মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন এবং নানা যুক্তি দেখিয়ে বিষয়টি ধর্ষণের চেষ্টাকারীর পরিবারের সাথে সালিশে মীমাংসা করার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে পরামর্শ দেন।
তবে ভুক্তভোগী পরিবারের চাপের মুখে পরে গুইমারা থানার ওসি মামলা গ্রহণ করেন বলে জানা গেছে। মারমা ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা করেন বলে জানা গেছে।