হিল ভয়েস, ১০ মার্চ ২০২১, বান্দরবান: বান্দরবান পার্বত্য জেলাধীন আলিকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নে লামা বনবিভাগের লোকজন কর্তৃক স্থানীয় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ত্রিপুরাদের গির্জা ভাঙচুর ও বাসগৃহে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বান্দরবান সদরে প্রেসক্লাবের সম্মুখে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৮ মার্চ ২০২১ বান্দবান প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বান্দরবানের আদিবাসী খ্রিস্টান সম্প্রদায়। এতে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ দুপুর ১২:০০ টায় কুরুকপাতা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাথীরাম পাড়া ও জিরা পাড়া গ্রামের সাধারণ খ্রিস্ট বিশ্বাসীদের গির্জা ভাঙচুর, গুড়িয়ে দেয়া ও বাসগৃহে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। লামা উপজেলা বনবিভাগের অধীন মাতামুহুরী রেঞ্জ কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মিনার ও পুলিশের ওসি মো: আতিকুল ইসলাম এর যৌথ নেতৃত্বে ৮-১০ জন সশস্ত্র বনরক্ষী গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে পূর্ব কোন সতর্কতার নোটিশ ছাড়াই বনবিভাগের জায়গায় গির্জা স্থাপনের কারণ দেখিয়ে নবনির্মিত একমাত্র পাকা গির্জাটি গুড়িয়ে দেয় এবং রনি ত্রিপুরা ও রামদু ত্রিপুরার বাসগৃহে অগ্নিসংযোগ করে।
নেতৃবৃন্দ আরও জানান, গির্জা ঘরটি নির্মাণের পূর্বে রেঞ্জ কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মিনার গির্জা নির্মাণের খাজনা হিসেবে গোপনে ২০,০০০ টাকা দাবি করে। গ্রামবাসীরা ঐ প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। এর জন্যই এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, উক্ত এলাকার পার্শ্ববর্তী কালিয়াপাড়া, কুরুকপাতা, পাওয়ামুহুরী, বাবুপাড়া, মীরচর ইত্যাদি এলাকায় মসজিদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু রেঞ্জ কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মিনার ও পুলিশের ওসি মো: আতিকুল ইসলাম শান্তিপূর্ণ এলাকায় দাঙ্গা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং গির্জাটি পুননির্মাণের সুব্যবস্থাসহ ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।