হিল ভয়েস, ১৭ মার্চ ২০২১, রাঙ্গামাটি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন জুরাছড়ি উপজেলার জুরাছড়ি ইউনিয়নে ৭ জুম্ম বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি ও হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ১৬ মার্চ ২০২১ রাত আনুমানিক ১১:৩০ টার দিকে উপজেলার বনযোগীছড়া সেনা জোনের অধীন নতুন স্থাপিত লুলাংছড়ি সেনা ক্যাম্পের কম্যান্ডার ক্যাপ্টেন আনম এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল সাপছড়ি ও লুলাংছড়ি জুম্ম গ্রাম ঘেরাও করে। এসময় সেনাদলটি অন্তত ৭টি বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালায়, জিনিসপত্র তছনছ করে দেয় এবং বাড়ির লোকদের হয়রানি করে।
তল্লাশি ও হয়রানির শিকার বাড়িগুলি হল- ১. সমীরণ চাকমা, পীং-বিজয় মোহন চাকমা, গ্রাম-সাপছড়ি; ২. কৃষ্ণ চাকমা, পীং-হরিনাথ চাকম, গ্রাম-ঐ; ৩. জ্ঞানশ্বর চাকমা, পীং-চিতারাম চাকমা, গ্রাম-ঐ; ৪. লালন চন্দ্র চাকমা, পীং-কালাচান চাকমা, গ্রাম-ঐ; ৫. কিরণ চাকমা (বর্তমান ইউপি মেম্বার), পীং-বিজয় মোহন চাকমা, গ্রাম-ঐ; ৬. দয়ানন্দ দেওয়ান, পীং-অমৃত লাল দেওয়ান, গ্রাম-ঐ এবং ৭. পাথর মুনি চাকমা, পীং-মৃত ললিত ভুষণ চাকমা, গ্রাম-লুলাংছড়ি।
উল্লেখ্য, ৯ মার্চ ২০২১ সকালের দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলার মৈদুং ইউনিয়নে শান্তি রঞ্জন চাকমা (২৫) ও রঞ্জন চাকমা (৩৫) নামের দুই অসুস্থ ও নিরীহ জুম্মকে আটক এবং গাছে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাত আনুমানিক ২:৩০ টার দিকে জুরাছড়ি উপজেলার সেনাবাহিনীর রণতুর্য্য ৭ বেঙ্গল এর বনযোগীছড়া সেনা জোনের কম্যান্ডার লে: কর্ণেল মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ফয়সাল পিএসসি এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ৮০-৯০ জনের একটি দল জুরাছড়ি ইউনিয়নের কাঠালতলি গ্রামটি ঘেরাও করে। এসময় গ্রামের মানুষের মধ্যে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এরপর সেনা সদস্যরা কাঠালতলি গ্রামের (১) বিনয় চাকমা (৩০), পীং-পূণ্য কুমার চাকমা, (২) মরত্স চাকমা (৪০), পীং-হেঙত্তে চাকমা ও (৩) গুণোমনি চাকমা পজু (৬০), পীং-মালাচান চাকমা নামের তিন গ্রামবাসীকে ঘুম থেকে তুলে নতুন স্থাপিত লুলংছড়ি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং সেখানে আটক করে রাখে।