হিল ভয়েস, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বান্দরবান: বান্দরবান জেলাধীন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ২৭৭ নং ক্রোক্ষ্যং মৌজার পালংখাই খাল নাইক্ষ্যং মুুখ নামক স্থানে পাথর উত্তোলন বন্ধ এবং উত্তোলনকারী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে ডেপুটি কমিশনারের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মৌজার ৩নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসী এই স্মারকলিপি পেশ করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ২৫ জানুয়ারি ২০২১ থেকে ২৭৭ নং ক্রোক্ষ্যং মৌজার পালং খাই খাল ও নাইক্ষং মুখ হতে এলাকাবাসীর মতামত ও পরিবেশ আইনকে তোয়াক্কা না করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যকে হুমকিতে ঠেলে দিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে।
এ পাথর উত্তোলনকারী ও পাথর বিক্রেতা হিসেবে দুই পক্ষের নাম উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, পাথর উত্তোলনকারী হিসেবে কাজ করছে ২৭৪নং দোছড়ি মৌজার ৪ নং ওর্য়াডের বাসিন্দা তুলাতলী গ্রামের গ্রামপুলিশ আবু বকর। অপরদিকে পাথর বিক্রেতা হিসেবে কাজ করছে (১) ক্যছিং মং চাক, পিতা-মৃত অংছাহ্লা চাক, (২) ৩ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য থোয়াইচিং অং চাক ও (৩) চাইছাহ্লা চাক, পিতা-মৃত ধৃংছা চাক। তারা সকলেই ৩ নং ওর্য়াডের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ার বাসিন্দা।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ইউপি সদস্য থোয়াইচিং অং চাক ও তার দুই বন্ধু মিলে প্রায় ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকার বিনিময়ে ১ বছরের জন্য তুলাতলী গ্রামের গ্রামপুলিশ আবু বকরের কাছে পাথর বিক্রি করে দেন। উত্তোলিত পাথরগুলো মেশিনের দ্বারা ভেঙে গভীর রাতে লেমুছড়ির দিকে পাচার করা হয়।
একাজে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালে পাথরখেকোরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এমতাবস্থায় স্মারকলিপিতে প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা, পরিবেশের ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্র্যকে রক্ষা, ঝিরির পানি শুকিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে বান্দরবান ডেপুটি কমিশনার (জেলা প্রশাসক) এর নিকট দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দাবি জানানো হয়।