জুরাছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক ৩ নিরীহ জুম্ম আটক ও বাড়িতে তল্লাশি

হিল ভয়েস, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, রাঙ্গামাটি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল রাঙ্গামাটি জেলাধীন জুরাছড়ি উপজেলার জুরাছড়ি ইউনিয়ন এলাকার তিন নিরীহ জুম্ম গ্রামবাসীকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং এক জুম্মর বাড়িতে হয়রানিমূলক তল্লাশি চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, আটককৃতদের মধ্য থেকে একজনকে আজ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাত আনুমানিক ২:৩০ টার দিকে জুরাছড়ি উপজেলার বনযোগীছড়া সেনা জোনের কম্যান্ডার লে: কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সাল এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ৮০-৯০ জনের একটি দল জুরাছড়ি ইউনিয়নের কাঠালতলি গ্রামটি ঘেরাও করে। এসময় গ্রামের মানুষের মধ্যে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এরপর সেনা সদস্যরা কাঠালতলি গ্রামের (১) বিনয় চাকমা (৩০), পীং-পূণ্য কুমার চাকমা, (২) মরত্স চাকমা (৪০), পীং-হেঙত্তে চাকমা ও (৩) গুণোমনি চাকমা পজু (৬০), পীং-মালাচান চাকমা নামের তিন গ্রামবাসীকে ঘুম থেকে তুলে নতুন স্থাপিত লুলংছড়ি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং সেখানে আটক করে রাখে। এসময় সেনাবাহিনী রাতব্যাপী তাদের গাইড হিসেবে চিকন মরত চাকমা, পীং-কালীচরণ চাকমা ও বিশ্বজিৎ চাকমা, পীং-কর্ণময় চাকমা নামে দুই ব্যক্তিকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যায় বলে জানা যায়।

অপরদিকে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাত আনুমানিক ৯:০০ টার দিকে জুরাছড়ি সেনা জোনের অধীন শিলছড়ি সেনা ক্যাম্প থেকে জনৈক ক্যাপ্টেন এর নেতৃত্বে প্রায় ১৫ জনের একটি সেনাদল পার্শ্ববর্তী মৈদুং ইউনিয়নের পানছড়িমুখ পাড়া গ্রামে জনসংহতি সমিতির মৈদং ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি চঞ্চল কুমার চাকমার বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালায় বলে জানা যায়। এসময় চঞ্চল কুমার চাকমা বাড়িতে ছিলেন না। তবুও সেনা সদস্যরা বাড়ির লোকদের নানাভাবে হয়রানি করে এবং চঞ্চল কুমার চাকমা যাতে আগামী কাল ক্যাম্পে গিয়ে দেখা করে তার নির্দেশ দিয়ে যায়।

এদিকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজ বেলা ১২:৩০ টার দিকে সেনাবাহিনী আটককৃতদের মধ্য থেকে গুণোমনি চাকমা পজুকে ছেড়ে দিয়েছে এবং বিনয় চাকমাকে জুরাছড়ি থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে, অপর আটককৃত মরত্স চাকমার সর্বশেষ খবর জানা যায়নি।

More From Author