হিল ভয়েস, ৩০ জানুয়ারি ২০২১, রাঙ্গামাটি: সেনামদদপুষ্ট সংস্কারপন্থী ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সন্ত্রাসীদের কর্তৃক রাঙ্গামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের দুই নিরীহ জুম্ম গ্রামবাসীকে অপহরণ ও অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি এবং আরও এক ষাটোর্ধ জুম্মকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২৯ জানুয়ারি ২০২১ সকালের দিকে কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের শামুকছড়ি গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণলাল চাকমা (৩২), পীং-অজ্ঞাত পার্শ্ববর্তী কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই বাজারে যায়। এক পর্যায়ে কাপ্তাই জেটিঘাট থেকেই সন্ত্রাসীদের একটি দল পূর্ণলাল চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঐদিনই বিকাল ৫:০০ টার দিকে সন্ত্রাসীরা অপহৃতের দুলাভাই পূণ্যলাল চাকমাকে (৪০) ফোন করে পূর্ণলাল চাকমার মুক্তিপণ হিসেবে ১,৫০,০০০ টাকা দাবি করে। এসময় সন্ত্রাসীরা দাবিকৃত উক্ত টাকা আগামীকাল ৩১ জানুয়ারি ২০২১ এর মধ্যে দিতে হবে বলে সময়সীমা বেঁধে দেয় এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে অপহৃত পূর্ণলালকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়।
অপরদিকে, একইদিন রাতে ঐ সন্ত্রাসীরা কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের শামুকছড়ি গ্রামের বাসিন্দা বিটুময় কার্বারীর দোকান কর্মচারীকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এছাড়া, সংস্কারপন্থী ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সন্ত্রাসীরা একই দিন সন্ধ্যা ৭:০০ টার দিকে কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের নাড়াইছড়ি গ্রামের বাসিন্দা হাঁপানি রোগী দয়ালাল চাকমাকে (৬৫) বেদম মারধর করে।
সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের কর্তৃক এই অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় এলাকার জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটি জেলাধীন সদর উপজেলার জীবতলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়া নামক গ্রামে গত প্রায় বছরখানেক আগে সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় সংস্কারপন্থী ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সন্ত্রাসীদের একটি দল অবস্থান গ্রহণ করে। এরপর থেকেই তারা জীবতলিসহ আশেপাশের এলাকায় হত্যাসহ অপহরণ, মারধর, চাঁদাবাজি ইত্যাদি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আরও উল্লেখ্য যে, সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে জীবতলি সেনাক্যাম্পের দূরত্ব মাত্র কয়েকশ গজ বলে জানা গেছে।