হিল ভয়েস, ২ ডিসেম্বর ২০২০, রাঙ্গামাটি: ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালি স্থায়ী অধিবাসীসহ সকল দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শুভেচ্ছা বার্তায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী শ্রী লারমা বলেন, আজকের এই দিনটি নি:সন্দেহে পার্বত্যবাসীদের একটি ঐতিহাসিক দিন, শুভ দিন। কিন্তু আজকের এই ঐতিহাসিক ও শুভ দিন পার্বত্যাঞ্চলের সামগ্রিক পরিস্থিতির সাথে কতটুকু সঙ্গতিপূর্ণ, তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। কেননা পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা, উন্নয়নসহ সকল বিষয় স্থানীয় সেনা ও গোয়েন্দাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে এবং ঔপনিবেশিক কায়দায় আজ জুম্ম জনগণ শাসিত, শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যেই ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি দীর্ঘ ২৩ বছর পরেও যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে পার্বত্যাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি আজ অস্থিতিশীল, উদ্বেগজনক ও হতাশাব্যঞ্জক, সর্বোপরি শাসক আর শাসিতের মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দেহের দূরত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জুম্ম জনগণের জাতীয় জীবনে হতাশা ও নিরাশা চেপে বসেছে। নিরাপত্তাহীন ও অনিশ্চিত ভবিষ্যত ভাবনায় জুম্ম জনগণ আজ বিপর্যস্ত। জাতীয় স্বার্থে এই বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনার দাবি রাখে। তাই তিনি জুম্ম জনগণের পাশাপাশি এ দেশের গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও বামপন্থী ব্যক্তি, সংগঠন ও রাজনৈতিক দলকে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে অধিকতর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।