হিল ভয়েস, ২০ ডিসেম্বর ২০২০, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গোলাবাড়ি এলাকায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক জুুম্ম তরুণীকে গণধর্ষণ ও বাড়ি লুটপাটের মামলায় খাগড়াছড়ি থানা পুলিশ ৯ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ খাগড়াছড়ির সদরে গোলাবাড়ি ইউনিয়নের বলপেইয়া আদামে ঘরের দরজা ভেঙে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক জুুম্ম তরুণীকে গণধর্ষণ ও বাড়ি লুটপাটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় প্রায় তিন মাসের কাছাকাছি তদন্ত করে ৯ জনকে আসামি করে আদালতে এই অভিযোপত্র জমা দেয় খাগড়াছড়ি থানা পুলিশ।
নয়জন আসামীর মধ্যে একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক রয়েছে বলে জানা যায়। তবে তার বিচার শিশু আদালতে হবে বলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, আসামিদের মধ্যে দুইজন এখনও পলাতক রয়েছে। আর আটককৃতরা সবাই গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “অভিযোগপত্রে নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দোষীপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে এবং তার বিচার শিশু আদালতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ একদল বাঙালি সেটেলার খাগড়াছড়ি সদরে গোলাবাড়ি ইউনিয়নের বলপেইয়া আদাম নামক গ্রামে ভোর রাতে দরজা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী জুম্ম তরুণীকে (২৬) দলবেঁধে ধর্ষণ করে ও বাড়ির স্বর্ণ ও টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর তরুণীর মা খাগড়াছড়ি সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাত নয়জনকে আসামি করে দুটি মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে সাতজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে।
আসামীরা হলেন- মো. আমিন (৪০), বেলাল হোসেন (২৩), ইকবাল হোসেন (২১), আব্দুল হালিম (২৮), শাহিন মিয়া (১৯), অন্তর (২০) ও আব্দুর রশিদ (৩৭)। তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ির রামগড়, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায়।