হিল ভয়েস, ২৩ নভেম্বর ২০২০, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালি উপজেলার ফটিকছড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় দুই আদিবাসী জুম্ম গ্রামবাসীর ভূমি বেদখল করে এবং তাদের বাঁশ ও সেগুন গাছ কেটে দিয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সেনাবাহিনী কর্তৃক একতরফাভাবে ফটিকছড়ি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের নভাঙ্গা ও দোবা কাবা নামের দুই গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে সুনির্মল চাকমা ও নিতেন চাকমা নামের দুই জুম্ম গ্রামবাসীর ভূমি বেদখল করে এই ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে। দোবা কাবা গ্রামের বাসিন্দা নিতেন চাকমার মালিকানাধীন ভূমিতে রয়েছে তার বাবার সৃজিত সেগুন বাগান। অপরদিকে নভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুনির্মল চাকমার ভূমিতে রয়েছে বাঁশ ও সেগুন গাছের বাগান।
জানা গেছে, গতকাল ২২ ডিসেম্বর ২০২০ বিকেল থেকে সেনবাহিনীর একটি দল ১৫/১৬ জন বাঙালি সেটেলার নিয়ে জোরপূর্বক নিতেন চাকমার বাগানের গাছ কাটার মধ্য দিয়ে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের কাজ শুরু করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, কার্বারি, মুরুব্বি তথা জনগণের সাথে কোন আলাপ-আলোচনা এবং অনুমতি ছাড়াই এই কাজ শুরু করে।
এরপর একইভাবে আজ ২৩ নভেম্বর সকাল থেকে সেনা সদস্যরা বাঙালি সেটেলারদের দিয়ে নভাঙ্গা গ্রামের সুনির্মল চাকমার বাঁশ ও সেগুন বাগানটিও কাটা শুরু করে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা জীপ গাড়িতে করে ক্যাম্প নির্মাণ স্থানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
দোবা কাবা গ্রামের নিতেন চাকমা জানান, তার বাবার সৃজিত সেগুন বাগানটি গতকাল থেকে কর্তন করা হচ্ছে। উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন বাগানটি হাতছাড়া হলে তার জীবন জীবিকার পথ চিরতরে রুদ্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ্ মুরুব্বি দয়াধন কার্বারী বলেন, আমরা তো নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে শান্তিতে বসবাস করে আসছি। অত্র এলাকায় কোন মারামারি, হানিহানি ও রক্তপাত নেই। তারপরেও কেন ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।
সূত্রঃ সিএইচটি নিউজ