হিল ভয়েস, ১২ অক্টোবর ২০২০: সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও উস্কানীতে ১০ অক্টোবরে বান্দরবানের জামছড়িতে হত্যাকান্ড এবং ১১ অক্টোবরে কাপ্তাইয়ের কারিগড় পাড়ায় হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে যে, গত ৭ অক্টোবর ২০২০ কাপ্তাই জোন কম্যান্ডার লে: কর্ণেল মিজানুর রহমান, পিএসসি রাজস্থলী গিয়ে রাজস্থলী সাব-জোন কম্যান্ডার মেজর মনজুরসহ ৮/১০ জন সেনা সদস্যকে নিয়ে সিভিলে রাজস্থলী উপজেলাধীন ফয়তু পাড়ায় যান। সেখানে মগ পার্টির কম্যান্ডার কৈহ্লা অংসহ মগপার্টি সদস্যদের সাথে প্রায় দুই ঘন্টা আলোচনা করে সেনা সদস্যরা রাজস্থলী ক্যাম্পে ফিরে আসেন।
জানা গেছে যে, জোন কম্যান্ডার ও সাব-জোন কম্যান্ডার পরিষ্কারভাবে মগ পার্টি সদস্যদের জানিয়ে দেন যে, সেনাবাহিনীর এজেন্ডা অনুযায়ী কাজ দেখাতে পারলে নিরাপদে থাকতে পারবে। আর অন্যথায় এ পর্যন্ত সংঘটিত চাঁদাবাজি ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় মগ পার্টি সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হবে, এমনকি ফাঁসিতেও লটকানো হবে।
এভাবে হুমকি ধামকি দেয়ার ফলে মগ পার্টি সদস্যরা সেনাবাহিনীর কথা অনুসারে কাজ করতে রাজি হয়। তারই আলোকে ১০ অক্টোবরে বান্দরবানের জামছড়িতে হত্যাকান্ড এবং ১১ অক্টোবরে কাপ্তাইয়ের কারিগড় পাড়ায় হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলে জানা যায়।
১০ অক্টোবর জামছড়ি ঘটনায় তিনজন প্রত্যেক্ষভাবে জড়িত ছিল বলে জানা যায়। অন্যদিকে ১১ অক্টোবর কারিগড় পাড়ার ঘটনায় দুইজন মগ পার্টি সদস্য সেদিন ভোর ৫:০০ টায় ফয়তু পাড়া থেকে একটা মোটরসাইকেলে করে কারিগড় পাড়া বাজারে গিয়ে কারিগড় পাড়া হতে আবু কার্বারী (মারমা)-কে নেয়।
সকাল ৭:৩০ ঘটিকায় ভালুক্যা থেকে ভাড়া নিয়ে বসন্ত তঞ্চঙ্গ্যা দু্র্জয় কারিগড় পাড়া বাজারে আসেন। বাজারে আসার সাথে সাথে নিরীহ বসন্ত তঞ্চঙ্গ্যা দু্র্জয়ের উপর সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। বসন্ত তঞ্চঙ্গা দু্র্জয় ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান। ঘটনা ঘটানোর পর সন্ত্রাসীরা রাজস্থলীতে ফিরে আনন্দ উল্লাস করেছে বলে জানা যায়।
১০ অক্টোবর ২০২০ উক্ত তিনজন মগ পার্টি সদস্যকে ফয়তু পাড়া থেকে রাজস্থলী সদরে নিয়ে আসা হয় এবং ঘটনার পরদিন ১২ অক্টোবর ২০২০ ভোরে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাদের গাড়িতে করে পৌঁছে ফয়তু পাড়ায় পৌঁছে দিয়ে যায় বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।