হিল ভয়েস, ৪ অক্টোবর ২০২০, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার ১ নং আটারকছড়া ইউনিয়নের করইল্যাছড়ি নামক গ্রামে করইল্যাছড়ি আর. এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রহিম কর্তৃক কলেজ পড়ুয়া এক জুম্ম শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে ঘটে।
ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টার দিকে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী বাড়ির ছাগলের খোঁজে বের হন। অনেক খোঁজাখুুজির পর না পেয়ে বাড়ি ফেরার পথে করইল্যাছড়ি আর. এস উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রহিমের সাথে দেখা হয়। ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী করইল্যাছড়ি আর. এস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এস এস সি পাশ করায় তাদের মধ্যে চেনা-জানা ছিল।
হঠাৎ দেখা পেয়ে প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রহিম ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীকে লেবু নিয়ে যেতে বলে স্কুলের দিকে নিয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থী কাছে গেলে হাত ধরে জোর করে স্কুল হোস্টেলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় ভূক্তভোগী শির্ক্ষাথীকে বাঁচাও, বাঁচাও চিৎকার করলেও হোস্টেলের দরজা জানালা বন্ধ থাকায় সে চিৎকার কারো কাছে পৌঁঁছায়নি। ধর্ষণের পর প্রধান শিক্ষক ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য বলেন এবং প্রকাশ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ঘটনার দুইদিন পর ২৭ সেপ্টেম্বর পরিবারের কাছে জানায়। পরে ভুক্তভোগীর মা-বাবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ১ নং আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মঙ্গল কান্তি চাকমাকে অবহিত করেন। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নিজেই ন্যায় বিচার চেয়ে ১ অক্টোবর ২০২০ ১ নং আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মঙ্গল কান্তি চাকমার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগামী ৬ তারিখ বিচার মীমাংসার দিন ধার্য করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হিল ভয়েসকে জানান, মো: আব্দুর রহিম আমার সাবেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ায় খোলা মনে লেবু আনতে যাই। এসময় হঠাৎ আমার হাত ধরে কলেজ হোস্টেলে নিয়ে গিয়ে আমাকে ধর্ষণ করেন। আমি এখন প্রধান শিক্ষক নামধারী মো: আব্দুর রহিমের শাস্তি চাই ও প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে বরখাস্ত চাই।
এ বিষয়ে আরও জানার জন্য ১ নং আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মঙ্গল কান্তি চাকমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
লংগদু থানান ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ নুর বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি তবে পুলিশকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভূক্তভোগীর পিতা বিন্দু চাকমা বলেন, টাকার অভাবে মামলা করতে পারছি না । তবে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা মো: আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। তিনি আসামী মো: আব্দুর রহিমের শাস্তি চান। চেয়ারম্যান সুষ্ঠু বিচার দিতে না পারলে মামলার পাশাপাশি ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানান।