হিল ভয়েস, ৩ অক্টোবর ২০২০, বান্দরবান: বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন লিরাঘই সেনা ক্যাম্পের সেনাবাহিনী কর্তৃক উপজেলার ৩নং আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের চহ্লা পাড়ার বাসিন্দা উক্যমং মারমা (৪৬) পীং-মংপ্রুচাই মারমাকে তার বাড়ি থেকে সেনাবাহিনীরা ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। আজ ৩ অক্টোবর ২০২০ শনিবার সন্ধ্যা ৫.০০ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, গত ৫ মাস পূর্বে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন প্রলোভন ও আর্থিক সহযোগিতার ফলে কচ্ছপতলী যাদুমনি ত্রিপুরা পাড়ার ৬টি ত্রিপুরা পরিবার মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন।
তাদের মধ্যে অংখিলা ত্রিপুরা বর্তমান নাম আব্দুল সালাম কার্বারী এবং ছালামত উল্লাহ হুজুর সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতায় একটি মসজিদ নির্মানের জন্য উক্যমং মারমার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে এবং খুব রাতারাতি মসজিদ নির্মাণ করে ফেলে। ছালামত উল্লাহ হুজুরকে উক্ত মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
জায়গার মালিক উক্যমং মারমা বান্দরবান থাকার কারণে বিষয়টি দেরিতে অবগত হন। জানার সাথে সাথে তিনি ঘটনাস্থলে এসে মসজিদ নির্মাণে বাধা দেন এবং উক্ত মসজিদটি উঠিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং হুজুর ও আব্দুস সালাম কার্বারী আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন। তখন অবস্থা বেগতিক দেখে জায়গার মালিক উক্যমং মারমা বাড়িতে ফিরে যান। আজ সন্ধ্যা ৫.০০ ঘটিকায় এক গাড়ি যোগে সেনাবাহিনী এসে উক্যমং মারমাকে তুলে নিয়ে যায়।
এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত উক্যমং মারমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। উক্যমং মারমার পরিবার তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।