হিল ভয়েস, ৪ অক্টোবর ২০২০, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাধীন পানছড়ির পূর্ব নালকাটা গ্রাম থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক ৭ জুম্ম নিরীহ ছাত্রকে আটক করে সেনাক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সেনাক্যাম্পে প্রায় ৫ ঘন্টা আটক রাখার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বিদের মাধ্যমে আটককৃত ছাত্রদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ (৪ অক্টোবর ২০২০) দুপুর আনুমানিক ১২:০০ টার দিকে সেনাবাহিনীর পানছড়ি সেনা সাবজোনের নায়েক সুবেদার আরিফ এর নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য দুটি পিকআপ যোগে পূর্ব নালকাটা গ্রামে যায়। এসময় সেনা সদস্যরা তাদের সামনে পাওয়া ৭ নিরীহ স্কুল ও কলেজ ছাত্রকে আটক করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
আটককৃত ছাত্ররা হলেন- ১. পুলিন চাকমা (১৭), পীং-ধলায়্যা চাকমা, স্কুল পড়ুয়া ছাত্র; ২. অতিশ চাকমা (১৭), পীং-বড়হুলো চাকমা, স্কুল পড়ুয়া ছাত্র; ৩. জুনেল চাকমা (১৭), পীং-মনিরাম চাকমা, স্কুল পড়ুয়া ছাত্র; ৪. পাভেল চাকমা (১৯), পীং-নিপুন চাকমা, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র; ৫. রিকেন তালুকদার (২৭), পীং- দিগেন্দ্র তালুকদার, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র; ৬. বিকেন তালুকদার(২৪), পীং-দিগেন্দ্র তালুকদার, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র; ৭. সুমেন্তু চাকমা (১৮), পীং-বিন্দু কুমার চাকমা।
জানা গেছে, উক্ত ছাত্রদের ধরে নিয়ে গিয়ে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা ক্যাম্পে আটক করে রাখা হয়। এসময় ছাত্রদের নানাভাবে হয়রানি ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
পরে বিকাল ৫:১৫ টার দিকে সেনাবাহিনী স্থানীয় ৪নং লতিবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কিরণ ত্রিপুরাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুরুব্বিদের ডেকে এবং তাদের মাধ্যমে আটককৃত ছাত্রদের ছেড়ে দেয়।
পানছড়ি সাবজোনের সেনাবাহিনী কেন ছাত্রদের ধরে নিয়ে ক্যাম্পে আটক করে রাখল তা জানা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুরুব্বি বলেন, সেনাবাহিনী এখানে যখন ইচ্ছে যাকে তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করতে পারে। তার কোন জবাবদিহিতা নেই। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব বুঝিয়ে দিতে এবং এলাকায় জনগণের মধ্যে ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই অহেতুক ধরপাকড় করা হয়েছে।