বাচ্চু চাকমা
রাঙ্গামাটি শহরের অনতিদূরে মহাপুরম(মাওরুম) একটি সমৃদ্ধশালী গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট্ট একটি নদী তার নাম মাওরুম বা মহাপুরম। কাপ্তাই লেকের অথৈ জলে বিলীন হয়ে যাওয়াতে আজ সেই সমৃদ্ধ গ্রাম হারিয়েছে তার অনেক স্মৃতি ও গৌরব। এই মহাপুরম গ্রামেই জুম্ম জাতির জাতীয় জাগরণের অগ্রদূত, মহান দেশপ্রেমিক ও নিপীড়িত জুম্ম জনগণের প্রাণপ্রিয় নেতা এবং জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ওরফে মঞ্জু ১৯৩৯ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে এদিনটি একটি অবিস্মরণীয় দিন বলা যায়। কেননা, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘুঁণেধরা, রক্ষণশীল, পশ্চাদপদ সামন্তীয় সমাজের প্রতিক্রিয়াশীলতার বেষ্টনীকে ভেদ করে জুম্ম জনগণের মুক্তির দিশারী, জুম্ম জাতির জাগরণের মহান অগ্রদূত, প্রাণপ্রিয় নেতা এদিনে জন্মগ্রহণ করেন। এদিনটি জুম্ম জনগণের কাছে অন্যান্য সাধারণ দিনের মতন নয়। অন্যান্য দিনের চাইতে আজকের দিনটি সম্পূর্ণভাবে আলাদা, বিশেষ সম্মানের, বিশেষ মর্যাদার, বিশেষ শ্রদ্ধার ও বিশেষ ভালবাসার একটি দিন।
আমরাও স্বপ্ন দেখি পার্বত্য চট্টগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হবে। কিন্তু, যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার পরিবর্তে শাসকগোষ্ঠীর প্রতি তীব্র ক্ষোভ, হতাশা ও ঘৃণাভরে এদিনটি আজ অভিনব কায়দায় অনলাইনে স্মরণ করতে হচ্ছে। আমরা সত্যিই লজ্জিত যে, প্রয়াত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান ও যথাযোগ্য মর্যাদা এখনও দিতে পারিনি। এদিনে জুম্ম জনগণের পথপ্রদর্শক ও প্রয়াত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার তাঁর সমগ্র রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রাম স্মৃতিচারণ করা দরকার। তাঁর এদিনটিকে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে জুম্ম জাতির ইতিহাসে শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সাথে স্মরণ করা এবং যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের যোগ্যমঞ্চে স্থান দিয়ে আমাদের স্মৃতির পাতায় সযত্নে সংরক্ষণ করা দরকার বলে মনে করি। বিষয়টি মনে রাখা দরকার যে, ‘যে দেশে জ্ঞানী-গুণীর কদর নেই, সে দেশে জ্ঞানী-গুণীজনের জন্ম হয় না’। তাই জ্ঞানী-গুণীদের প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা, শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দেওয়ার জন্য আমাদের আন্তরিক হতে হবে। যে মহাননেতা নিজের জীবনের বিনিময়ে গোটা জুম্ম জাতির দুঃখ দুর্দশাকে আপন করে নিয়েছিলেন, তাঁর জন্য আমাদের প্রত্যেকের স্যালুট করা দরকার। জুম্ম জাতির যা কিছু অর্জন, তাঁর ত্যাগের মধ্য দিয়ে ও তাঁর সংগ্রামের মধ্য দিয়েই অর্জিত হয়েছে। তিনি ঘুমন্ত জুম্ম জাতিকে জাগ্রত করে মুক্তির দিশা দেখিয়েছিলেন। কাজেই সেই অর্জনকে ধরে রাখতে হলে তাঁর প্রদর্শিত আদর্শের ভিত্তিতে আমাদের সামনের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
আজকের এদিনে মনে পড়ছে তাঁর ছাত্র জীবন, কর্মজীবন ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের নানান অবিস্মরণীয় ঘটনাবলী। বিশেষ করে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে জুম্ম জনগণের যে নজিরবিহীন দুঃখ-দুর্দশা তা তাঁর মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে এবং তিনি নিজেও এসবের প্রত্যক্ষ একজন ভুক্তভোগী। ১৯৬০ সালের কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে দীর্ঘ দুই বছর কারাবরণ, কারাবরণ অবস্থায় বিএ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হলেন, তাঁর এসব মহান কর্মগুলো সত্যিই আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। জুম্ম জনগণের জাতীয় অস্তিত্ব ও জন্মভূমির অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে কী না করেছিলেন তিনি! বিংশ শতাব্দীতে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যারা বিশ্বনন্দিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা তাঁদের মধ্যে অন্যতম। যদিও চুড়ান্ত বিশ্লেষণে জীবিত অবস্থায় জুম্ম জাতির স্বাধিকার-অধিকার এনে দিতে পারেননি, কিন্তু তাঁর প্রদর্শিত পথে এগিয়ে গিয়ে জুম্ম জাতি একদিন অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবেই।
আজ মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার গভীর দূরদর্শী চিন্তার কারণে দ্রুতগতিতে আমাদের জুম্ম সমাজের মধ্যে একটা প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছিল। ‘গ্রামে চলো নীতি’ গ্রহণ করে তাঁর নেতৃত্বে প্রগতিশীল জুম্ম ছাত্র সমাজ গ্রামের পশ্চাদপদ জুম্ম জনগণের কাছে ফিরে গিয়েছিলেন এবং গ্রামের মধ্যে বেড়ে ওঠা জুম্ম জাতির আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য অনেক শ্রম ব্যয় করেছিলেন। কারণ, তিনি জানতেন যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। শাসকগোষ্ঠীর সাথে সংগ্রাম করে অধিকার আদায় করতে হলেও দরকার জুম্ম জাতিকে আগে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। আমরা সবাই দেখেছি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ৭০ দশকের প্রতিরোধ সংগ্রামে সামিল হয়েছিলেন প্রায়ই পাহাড়ের শিক্ষিত শিক্ষক সমাজ। শাসকগোষ্ঠী এক সময় জনসংহতি সমিতির আন্দোলনকে মাস্টার্স রেভ্যুলেশন হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। সেজন্য জনসংহতি সমিতির আন্দোলনকে অধিক পরিমাণে ভয় করতেন। প্রয়াত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা আমাদের জুম্ম জাতির সম্পদ, নিপীড়িত মানুষের মুক্তির আন্দোলনের অনুপ্রেরণাও। তাঁর হাত ধরে পুরো জুম্ম জাতির মুক্তির আন্দোলন এগিয়ে চলেছিল। তাঁর অনুপস্থিতিতে আমাদের জুম্ম জাতির আন্দোলন এখনও থেমে নেই, তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী প্রিয়নেতা সন্তু লারমার নেতৃত্বে আন্দোলন অব্যাহত গতিতে এগিয়ে চলছে। তিনি যে চেতনা ছড়িয়েছিলেন সেই চেতনাকে বহন করে চলা তাঁর অনুজরা এখনও হাল ছাড়েননি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি ও মাতৃভূমিকে কামড়ে রয়েছে। মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার চেতনার সত্যিই কোন মৃত্যু নেই।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসের চাকা পাল্টিয়ে দিয়েছেন প্রয়াত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতার নিরিখে শ্রমিকের বদলে জুমচাষী ও পেটি বুর্জোয়া নিম্ন মধ্যবর্তী শ্রেণির ছাত্র, যুব, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও জুম্ম সমাজের প্রগতিশীল অংশকে চিহ্নিত করে আন্দোলনের মূলশক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছেন জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনী, শুরু করেছিলেন অভিনব কায়দায় গেরিলা যুদ্ধ। পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম তরুণরা আজও হাঁটছে তাঁর দেখানোর পথে। ৭৫ সালে রাজনৈতিক পথ পরিবর্তনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। সে সময় অসংখ্য জুম্ম তরুণ দলে দলে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে জনসংহতি সমিতিতে যোগদান করেছিলেন। তিনি ৭০ দশকের জুম্ম তরুণদের সশস্ত্রভাবে সংগঠিত করেছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে এই সশস্ত্র দলটি শান্তিবাহিনী নামে পরিচিত পায়। এদের লক্ষ্য ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণকে বিজাতীয় শাসন শোষণ থেকে মুক্ত করা। আর সে লক্ষ্য অর্জনে ৭০ দশকে অভিনব গেরিলা যুদ্ধের পথ অনুসরণ করে এ শান্তিবাহিনী। প্রয়াত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার দক্ষ পরিচালনায় গড়ে উঠেছে মিলিশিয়া বাহিনী, গ্রাম পঞ্চায়েত, মহিলা সমিতি ও যুব সমিতি। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রয়াত নেতার প্রতি জুম্ম জনগণের ভালবাসার কোন কমতি নেই। বিপ্লবী এই নেতার মৃত্যুর ৩৭ বছর পার হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম নিপীড়িত জুম্ম জনগণের হৃদয়ে তাঁর স্থান এখনও দীপ্যমান। বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, জেলে, কামার-কুমোর, রিকসাওয়ালা সর্বোপরি গরীব মেহনতি মানুষের প্রতি তাঁর যে দরদ কোন অংশেই কমতি ছিল না।
আমি হিমালয় পর্বতকে এখনও দেখেনি, হিমালয় পর্বত সম্পর্কে অনুভব করতে পারি, তবে সেই অনুভুতি মহান নেতাকে অনুভব করার মতন নয়। প্রয়াত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে না দেখেও গভীরভাবে অনুভব করি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে তিনি ছিলেন হিমালয় পর্বতের মতোই সমান। সুতরাং হিমালয় পর্বতকে না দেখলেও মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে সত্যিকারভাবে উপলদ্ধি করতে পারলে হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা লাভ করা যায়। তাই আমাদের জুম্ম জাতির তরুণ প্রজন্ম যেন প্রয়াতনেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে গভীরভাবে অনুভব করে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বিংশ শতাব্দীতে অনেক শিক্ষক, আইনজীবী, দার্শনিক, দক্ষ সাংসদ, দেশপ্রেমিক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা জন্মলাভ করেছিলেন। এই সবকিছুর মধ্যেই তাঁর স্থান সর্বোচ্চ আসনে আসীন হয়ে রয়েছে। মনে হয় যেন একটা আদিম শক্তিই পার্বত্য চট্টগ্রামের বুকে মহান নেতাকে উপহার হিসেবে আমাদেরকে পাঠিয়েছিল। প্রয়াত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন সত্যিকার জনগণের নেতা এবং জুম্ম জনগণের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। তাঁকে দেয়া অবিসংবাদিত নেতা, পথপ্রদর্শক ও জুম্ম জাতির প্রবক্তার খেতাবে এই নিপীড়িত মানুষের নেতার প্রতি জুম্ম জনগণের গভীর ভালবাসা প্রতিফলিত হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর দিনটি আমাদের মহান দেশপ্রেমিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি জুম্ম জনগণের অধিকার ও মর্যাদার জন্য আমৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করেছিলেন এবং জুম্ম জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।
আজ তাঁর জন্মদিনে মনে পড়ছে ১৯৭২ সালে ২৫ অক্টোবর সংবিধান বিলের উপর আলোচনা করতে গিয়ে আপামর শ্রমজীবী ও নিপীড়িত মানুষের জন্য সংসদের ভেতরে-বাইরে লড়াই করে গেছেন এবং বঞ্চিত ও উপেক্ষিত জনগণের সপক্ষে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আজ আমি দেখতে পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা, মাথাভাঙ্গা, শঙ্খ, মাতামুহুরী, কর্ণফুলী, যমুনা, কুশিয়ারা, প্রভৃতি নদীতে রোদ-বৃষ্টি মাথায় করে যাঁরা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বৎসরের পর বৎসর ধরে নিজেদের জীবন তিলে তিলে ক্ষয় করে নৌকা বেয়ে, দাঁড় টেনে চলেছেন, রোদ-বৃষ্টি মাথায় করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যাঁরা শক্ত মাটি চষে সোনার ফসল ফলিয়ে চলেছেন, তাঁদের মনের কথা এ সংবিধানে লেখা হয়নি। আমি বলছি, আজকে যাঁরা রাস্তায় রাস্তায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন, তাঁদের মনের কথা এই সংবিধানে লেখা হয়নি। সবচেয়ে দুঃখজনক কথা হচ্ছে এই যে, আমাদের মা-বোনদের কথা এখানে নাই। নারীর যে অধিকার ভোগ করে, সে অধিকার যদি সরকার হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, তাহলে জনসাধারণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে নাই”। মহামানবের মুখের কথা কি বেঠিক হতে পারে? আজ বাংলাদেশের ইতিহাসের আলোকে তার বক্তব্য বাস্তব সত্যে পরিণত হয়েছে। হয়তো ১৯৮৩ সালে ১০ নভেম্বর প্রতিক্রিয়াশীল, বিভেদপন্থীরা তাকে হত্যা করে তার রচিত ইতিহাস মুছে ফেলার চক্রান্ত করেছিল। ইতিহাসের সেই মলিন অধ্যায় সৃষ্টিকারী বিভেদপন্থী গিরি-প্রকাশ-দেবেন-পলাশ চক্র আজ আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। কালো মেঘের আড়াল থেকে সত্যের সাহসী সূর্য সন্তানেরা আজ পাহাড়ের বুকে বেরিয়ে এসেছে। মহান নেতার বাস্তব কর্মের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা সত্যের ইতিহাস আর কেউ কোনোদিন মুছে ফেলতে পারবে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিক্রিয়াশীল, সুবিধাবাদী ও বিভেদপন্থীদের ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। থেমে নেই তাদের জুম্ম জাতিকে ধ্বংস করার বহুমুখী ষড়যন্ত্র। যদিও প্রগতি বিরোধী শক্তি এখনও পার্বত্য চট্টগ্রামের বুকে যে অপপ্রচার করে যাচ্ছে, তা কারোর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের গোটা জুম্ম জাতিকে আজ একাট্টা হতে হবে। প্রিয়নেতার জন্মদিনে আজ কামনা করি যেন তাই হয়।