হিল ভয়েস, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের বিরাট (বরট্ট) গ্রামের এক সান্তাল আদিবাসী পরিবারের জমি দখলে নেয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে পরিবারের সদস্যরা গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের বিরাট (বরট্ট) মৌজার মৃত সুরুজ মুর্মুর ছেলে জোয়াস মুর্মু ও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।
জোয়াস মুর্মুর পক্ষে তারামনি সরেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বরট্ট মৌজার জেএলনং- ৫৮ আরএস খতিয়ান: ২২৪, ২২৬,২২৮, বিআরএস খতিয়ান-৭৭০ সহ ০৮টি দাগে ২.৫৮ (দুই একর আটান্ন শতক) একর জমি পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি জোয়াস মুর্মু ও তার পরিবারের সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখল করে আসছে। সে জন্য তারা উক্ত জমির খাজনা ও ভূমি কর নিয়মিত ভাবে পরিশোধ করে আসছে।
কিন্তু দীর্ঘিদন থেকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বরট্ট গোমরাদিঘী গ্রামের মৃত বিরাজ উদ্দিনের ছেলে মোজাম্মেল হক, ধনিয়াল গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল মান্নান, চাপরাপাড়া গ্রামের আবু তালেবের ছেলে জাকারিয়া, রাজা বিরাটের কাইয়ুম উদ্দিনের ছেলে ফারুক আহম্মেদ, চাপরাপাড়া গ্রামের মেহেরাজ আলীর ছেলে রাজ্জাক মন্ডল, আব্দুল লতিফ মন্ডল, ধনিয়াল গ্রামের নসির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আঃ রহিম মন্ডল, আব্দুল আজিজ মন্ডল, চাপড়া পাড়ার আজিজার রহমানের ছেলে হাকিম মন্ডল জাল দলিল তৈরী করে উক্ত জমি দখল করার চেষ্টা করে আসছে। তাদের মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে বলে লিখিত বক্তব্য বলা হয়।
তারা মনি সরেন বলেন, ভূমিদস্যুরা প্রায়ই লাঠি ছোড়া, কোদাল, লোহার রড নিয়ে এসে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বে-আইনীভাবে জোয়াস মুর্মুর জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে। তিনি আশংকা করছেন, ভূমিদস্যুরা যে কোন সময় উক্ত জমি জমি দখল করতে পারে।
তারা মনি সরেন আরও বলেন, প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা থানায় মিথ্যা আভিযোগ দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছে। নিরাপত্তা বিধান ও জমি রক্ষায় তিনি প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, উক্ত জমি সমস্যাটি গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ১১৬/২০০৫ নং মামলা দায়ের করার পর আদালত ২০১১ সালের ৯ আগস্ট জোয়াস মুর্মুর পক্ষে ডিক্রী প্রদান করেন। সেই সাথে আদালত ভূমিদস্যুদের জাল দলিল বাতিল করেন। বিবাদীগণ অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে আপীল মামলা (নং ১৪৪/১১) করলেও আদালত তা খারিজ করে দেন।