হিল ভয়েস, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ১৪ বছরের কোচ সম্প্রদায়ের এক আদিবাসী মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর যৌন হয়রানির ঘটনায় শালিসি বৈঠকে লাখ টাকায় মীমাংসার খবর পাওয়া গেছে। সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দোয়ানিচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গত শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়েছিল শাহজালাল (২৫) নামের এক যুবক। এর দুইদিন পর সোমবার গভীর রাতে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ৫ সেপ্টেম্বর রাতে প্রকৃতির ডাকে মেয়েটি বাইরে গেলে শাহজালাল তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় এরপর মেয়েটির সাথে যৌন হয়রানি করে।
পরে মেয়েটি চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে শাহজালাল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে মেয়ের ভাই কৃষ্ণ কুমার বর্মন বাদী হয়ে থানায় তিনজনের নামে একটি অভিযোগ দেন। ঘটনার দুইদিন পরে সোমবার গভীর রাতে মেয়ের বাড়িতে ওই শালিসি বৈঠক হয়। সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সাবেক ছাত্রলীগের নেতার সমন্বয়ে এক শালিসি বৈঠক হয়। বৈঠকে অপরাধীকে কোন ধরনের শাস্তি প্রদান ছাড়া মেয়ের পরিবারকে এক লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্তে মীমাংসা করা হয়।
শালিসি বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন বলেন, কাকড়াজান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফরিদুজ্জামান এবং আমি থাকাকালীন সময়ে টাকার কোনো আলাপ হয়নি। বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে কিন্ত টাকার কোনো কথা আমি জানি না।
ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, এ ঘটনায় সোমবার রাতে আপস মীমাংসা হয়েছে। এক লাখ টাকা লেনদেনের কথাও শুনেছি।সখীপুর থানার সাব ইনস্পেক্টর মো. বদিউজ্জামান বলেন, এখনও আপস-মীমাংসার কোনো কথা শুনিনি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।