হিল ভয়েস, ৩০ আগস্ট ২০২০, বান্দরবান: রুমায় কৃষি মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে পাহাড়ি চাষীদের সাথে প্রতারণা করেছে গ্রিনগ্রেইন কেশিও প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি নামে একটি সংস্থা ।
ঘটনা খোজ নিয়ে জানা যায়, গ্রিনগ্রেইনের চেয়ারম্যান শাকিল আহমেদ ৫০ মেট্রিকটন কাজু বাদাম সংগ্রহ করার জন্য রুমা কৃষি অফিসারের মাধ্যমে চাষীদের সাথে কথা বলেন। তার জন্য ৪ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেয়। গ্রিইনগ্রেইন কর্তৃপক্ষ প্রথম ভাগে ২০ মেট্রিকটন কাজু বাদাম নিয়ে যায়।
অবশিষ্ট ৩০ মেট্রিকটন কাজু বাদাম নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও গ্রিইনগ্রেন কর্তৃপক্ষ এখনো অবধি নিয়ে যায়নি। চাষীরা চেয়ারম্যান শাকিল আহমদের সাথে বাকি ৩০ মেট্রিকটন নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানালেও আজ নিব কাল নিব করে প্রায় ২ মাস ধরে তারিখের পর তারিখ পিছিয়ে দিচ্ছেন।
প্রতারণার শিকার রুমা মুনলাই পাড়া কাজুবাদাম চাষী চাই মং বলেন, গ্রিনগ্রেইনের চেয়ারম্যান শাকিল আহমেদ ৩০ টন কাজুবাদাম সংগ্রহ করার জন্য রুমা কৃষি অফিসারের মাধ্যমে আমাদের ৪ লাখ টাকা অগ্রিম দেয়। কিন্তু সংগ্রহকৃত ৩০ মেট্রিকটন কাজুবাদাম নিতে বললে উনি আমাদের আজ ২ মাস ধরে তারিখের পর তারিখ দিযে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় আর্থিক কষ্টে আমরা চাষীরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি| আমাদের কৃষকদের সাথে রীতিমতো অন্যায় অবিচার করা হচ্ছে। চাষীরা বলছেন গ্রিইনগ্রেন কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে প্রতারণা করছেন।
গ্রিনগ্রেইন কেশিও প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি প্রতারণার করার ফলে পাহাড়ের কাজু বাদামের বাগান মালিক পাহাড়িরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টের দিন যাপন করছে। বাকি কাজু বাদাম কোথায় বিক্রি করবে এ নিয়ে অনেকে হতাশায় আছেন।
এবিষয়ে কাজু বাদাম সংগ্রহকারি বান্দরবান রুমা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুটিমল তঞ্চঙ্গ্যা জানান, বান্দরবান জেলার কৃষি অধিদপ্তরের ডিডি নির্দেশক্রমে চট্টগ্রামের গ্রিনগ্রেইন কেশিও প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি নামে কৃষি মন্ত্রীর নির্দেশে কৃষকদের কাছ থেকে কাজুবাদাম সংগ্রহ করতে বলেন। কিন্তু কাজুবাদাম সংগ্রহ করার পর গ্রিনগ্রেইন কেশিও প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান শাকিল আহমেদ কোন ফোন রিসিভ করছেন না। ফোন রিসিভ করলেও একের পর এক তারিখ দিয়ে যাচ্ছে, কাজু বাদাম না নিয়ে কৃষকদেরকে নানান অজুহাত দেখাচ্ছেন।
চাষীদের সঙ্গে প্রতারণা করার বিষয়ে জানান জন্য গ্রিইনগ্রেন কেশিও প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি চেয়ারম্যান শাকিল আহমেদকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও নেটওয়ার্ক সংযোগের পাওয়া যায়নি।
এদিকে এ সমস্যাকে সমাধানের জন্য কৃষিমন্ত্রীর কাছে জোর আবেদন জানিয়েছেন। তার হস্তক্ষেপে যেন অবশিষ্ট ৩০ টন সংগ্রহকৃত কাজুবাদাম বিক্রি করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।