হিল ভয়েস, ০১ আগস্ট ২০২০, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ফলাহারিয়া গ্রামে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করা সময় কোন সরকারী সাইনবোর্ডের অস্তিত্বের ছিল না।
জ্ঞানশরণ বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করার পর উক্ত বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষুরা স্বধর্ম প্রচারের পাশাপাশি বিহার এলাকার বুদ্ধমূর্তি স্থাপন করেন। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের শান্তিপ্রিয় ধর্ম প্রচার দেখা প্রতিহিংসার আগুনে জ্বেলে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদের ছোট ভাই এরশাদ মাহমুদ পূর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী ভিক্ষুদের বৌদ্ধ বিহার থেকে বিতাড়িত করার জন্য দফায় দফায় ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি প্রদর্শন করার অভিযোগ রয়েছে।
বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আইনি পদক্ষেপ চেয়ে নিরাপত্তা চাইলেও আইনি সহায়তা পাননি। উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই ২০২০ বৌদ্ধ ভিক্ষুরা একটি ভিডিও বার্তায় সেখানকার সমস্যাটিকে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের সাহায্যে চেয়েছিলেন ও বৌদ্ধ বিহারের অবস্থানরত বৌদ্ধ সন্যাসীদের নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরেন।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সেই ভিডিও বার্তা দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ ধর্মবলম্ভীদের নিকট পৌঁছলে বাংলাদেশ সরকারকে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানান। এখনো পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
শেষমেশ বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিরাপত্তা চাওয়া প্রধানমন্ত্রী বরাবর ভিডিও বার্তাটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে ষড়যন্ত্রকারীরা ধর্মীয় জিগীর তুলে ভিক্ষুদের বৌদ্ধ বিহার থেকে বিতাড়িত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হন।
মূল-ষড়যন্ত্রকারী তথ্যমন্ত্রীর ছোট ভাই এরশাদ মাহমুদ স্থানীয় মুসলিম সংগঠনদের মাঠে নামিয়ে দিয়ে ধর্মীয় সংঘাত উস্কে দিতে প্রকাশ্যে দেখা যায়। তারপর যথারীতি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিতাড়িত করার জন্য সরকারের নামে ব্যবহার করে রাতারাতি বৌদ্ধ বিহার এলাকায় নতুন করে সংরক্ষিত বনভূমি সাইনবোর্ড স্থাপন করে।