হিল ভয়েস, ১৯ আগস্ট ২০২০, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল মনসুর (৫৫) কর্তৃক বসুমতি ত্রিপুরা নামে হরিণমারা গ্রামের এক আদিবাসী নারীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গত ১৩ আগস্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ত্রাণ দেয়ার নাম করে ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল মনসুর মার্চের ৫ তারিখ নির্যাতনের শিকার বসুমতি ত্রিপুরার থেকে একটি টিপসই নিয়ে নেয়। তারপর থেকে আবুল মনসুর তাদের বিয়ের ভূয়া কাবিননামা ও রেজিষ্ট্রেশন কাগজ দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করে এলাকায় প্রচার করে।
খবরটি বসুমতি ত্রিপুরা জানতে পারলে ন্যায় বিচার চেয়ে নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে আসার পথে আবুল মনসুরের হাতে ব্যাপক মারধরের শিকার হন। পরে এলাকার লোকজনের হস্তক্ষেপে সালিশ বসে। সালিশে মেম্বার আবুল মনসুর বিয়ের ভূয়া কাগজপত্র দেখালে কোনধরনের যাচাই বাছাই ছাড়া সালিশের লোকজন আবুল মনসুরে পক্ষে রায় দেয়।
পরে ভুক্তভোগী নারী গতকাল ১৮ আগস্ট তার উপর হামলার বিচার চেয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি হিল ভয়েসকে বলেন, চাউল দেয়ার নাম করে আবুল মনসুর আমার থেকে টিপসই নিয়েছে কিন্তু তার সাথে আমার বিয়ে করার বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
এ প্রসঙ্গে নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমার ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের আচরণে আমি লজ্জিত। ভুক্তভোগী নারীটি যাতে ন্যায় বিচার তার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। আমিও ন্যায় বিচার চাই। আইন মোতাবেক ইউএনও যে সিদ্ধান্ত নিবেন আমি তাতে একমত হব।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্যা ফুল কুমার ত্রিপুরা বলেন, এক ত্রিপুরা নারীর উপর যেভাবে দিনে দুপুরে মারধর করা হয়েছে এটি অন্যায়। আমি প্রশাসনের কাছে আসামীর যথাযথ শাস্তি দাবি করছি।