হিল ভয়েস, ০১ আগস্ট ২০২০, খাগড়াছড়ি: সেনা-সমর্থিত সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়ি জেলাধীন গুইমারা উপজেলার গুইমারা ইউনিয়নের বাইল্যাছড়ি গ্রামের শশাঙ্ক ধামাই (৭৩) নামে একজন নিরীহ গ্রামবাসীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপহৃত ব্যক্তি জাতিসংঘের আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কর্মব্যবস্থা (এমরিপ)-এর সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং এশিয়া ইন্ডিজিনাস পিপলস প্যাক্ট (এআইপিপি)-এর কার্যকরী সদস্য বিনোতাময় ধামাই’য়ের পিতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, গতকাল (৩১ জুলাই ২০২০) শুক্রবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭:৩৫ টার দিকে শশাঙ্ক ধামাই তাঁর বাড়ির নিকটবর্তী বাইল্যাছড়ি গ্রামের ‘জিরেন্দ্র দোকান’ নামে এক চা দোকানে বসে চা পানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় সংস্কারপন্থীদের ৪ জন সশস্ত্র কর্মী মোটর সাইকেল যোগে দোকানে আসে এবং নাম জেনে নিয়ে শশাঙ্ক ধামাইকে তুলে নিয়ে যায়।
তবে রাত ১১ টার দিকে তিনি সুস্থ শরীরে ঘরে ফিরে এসেছেন বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। তবে শনিবার এলাকার মুরুব্বীদের সাথে নিয়ে সংস্কারপন্থীদের অফিসে তাকে দেখা করতে বলা হয়েছে।
তদনুসারে আজ ০১ আগস্ট শনিবার সকালে মাটিরাঙ্গা সদরস্থ সংস্কারপন্থীদের অফিসে এলাকার কয়েকজন মুরুব্বীসহ তিনি দেখা করতে যান। তাদের নির্দেশ মতো কাজ না করলে কঠিন পরিণতির মুখোমুখী হতে হবে বলে এ সময় সংস্কারপন্থীরা হুমকি প্রদান করেন।
মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি জানান যে, মাটিরাঙ্গা থানা ও সেনা ক্যাম্পের অদূরে এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চারতলা বিল্ডিংয়ের সন্নিকটে অফিস খুলে সেনা-পুলিশের আশ্রয়ে সংস্কারপন্থীরা আগ্নেয় অস্ত্রসহ অবস্থান করে।
সেখান থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে মোটর সাইকেল যোগে যত্রতত্র এভাবে চাঁদা দাবি করায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শশাঙ্ক ধামাই ও তার পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।
স্থানীয় সূত্র জানায় যে, এর আগে শশাঙ্ক ধামাই একবার হার্টের ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি শারিরীক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
উল্লেখ্য যে, এর আগে ২০০৪ সালে শশাঙ্ক ধামাইকে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক একবার অপহরণ করা হয়েছিল।