হিল ভয়েস, ২৪ আগস্ট ২০২০, কক্সবাজার: সম্প্রতি কক্সবাজার জেলাধীন রামু উপজেলার ফতেখাঁরকূল এলাকায় কমরউদ্দিন নামে এক বাঙালি ভূমিদস্যু কর্তৃক আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের ভূমি জবরদখল করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভূমিদস্যু কমরউদ্দিন লুৎক্য রাখাইন ও তার ভাইয়ের মালিকানাধীন ভূমিতে জোরপূর্বক দোকান নির্মাণের কাজ চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফতেখাঁরকূল মৌজা এলাকায় যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ। পিতার মৃত্যুর পর লুৎক্য রাখাইন ও তার ভাই উত্তরাধিকারসূত্রে প্রায় .৮২ শতক ভূমির মালিকানা লাভ করেন। পরে অর্থের প্রয়োজনে তারা কিছু ভূমি বিক্রি করেন এবং বাকী সাড়ে .৪৩ শতক ভূমি ভোগদখল করে আসছেন।
সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী এলাকার কমরুদ্দীন নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি লুৎক্য রাখাইন ও তার ভাইয়ের মালিকানাধীন উক্ত ভূমি বেদখলের অপচেষ্টা শুরু করেছেন। প্রথমে তিনি লুৎক্য রাখাইনদের ভূমির পার্শ্ববর্তী এক জায়গায় সমিল স্থাপন করেন। এরপর কমরুদ্দীন ও তার লোকেরা সমিলের কাঠ রাখার নামে একতরফাভাবে লুৎক্য রাখাইনের ভূমিতে টিনের বেষ্টনী নির্মাণ করে। পরবর্তীতে তারা এমনকি জোরবরদস্তিমূলকভাবে মাটি কেটে দোকানঘর নির্মাণ শুরু করে। এরপর লুৎক্য রাখাইন ও কিছু প্রতিবেশী বাধা দিলে কমরুদ্দীন ও তার লোকেরা আপাতত কাজ বন্ধ রাখে।
কিন্তু এরপরও ভূমিদস্যু কমরুদ্দীন একদল ভাড়াতে দুর্বৃত্ত লোক এনে উক্ত ভূমিতে দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করে। এমতাবস্থায়, লুৎক্য রাখাইন ও তার আত্মীয়রা নিরুপায় হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর আদালত গত ১০ আগস্ট ২০২০ তার এক আদেশে লুৎক্য রাখাইন ও তার ভাইয়ের ভূমিতে কমরুদ্দীনের নির্মাণ কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে।
কিন্তু আদালতের আদেশ সত্ত্বেও পুলিশকে অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করে ভূমিদস্যু কমরুদ্দীন রাখাইন সম্প্রদায়ের জায়গায় জোর পূর্বক নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।