হিলভয়েস, ১৮ আগস্ট ২০২০, রাজশাহী: রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীতে আদিবাসী নারী ধর্ষণ চেষ্টার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কর্তৃক রাজশাহীতে এক মানববন্ধন আয়োজন করেছে।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রাজশাহী জেলার সভাপতি বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, অনগ্রসর সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (আসুস) ও আদিবাসী যুব পরিষদের নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট সাংবাদিক, ৭১র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও তৃণমুলসংস্থার নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও ধর্ষণ চেষ্টার মুল হোতা জহুরুল ইসলামকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। দ্রুত তাকে এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একজন অপরাধী দেশের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে সাজা দিতে পারছে না তা হাস্যকর বিষয় ছাড়া আর কিছু নয়। আদিবাসীরা কি এভাবে অত্যাচার নির্যাতন হতে থাকবে আর রাষ্ট্র চেয়ে চেয়ে থাকবে এমতো হতে পাওে না। আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার -রাষ্ট্র বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শী সুমিত্রা মুন্ডা বলেন, আমরা ভয়ে ভয়ে থাকছি, কখন না আমাদের উপরে হামলা হয়। ভয়ে বাড়ির বাইরে বের হতে পারছি না। পুলিশ আমাদেরকে বলে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিতে। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক আমাদেরও সমান অধিকার আছে আইনি সহায়তা পাওয়ার।”
ঘটনাায় হামলার শিকার লুচি মুন্ডা বলেন, “জহুরুলের লোকজন আমাদেরকে দা দিয়ে রাস্তায় ভয় দেখায়। রাস্তা অবরোধ করে রাখে। মারধর করার হুমকি দিচ্ছে”।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগষ্ট ২০২০ তারিখ দিবাগত রাতে প্রতিবেশি জহুরুল ইসলাম (৪৫) আদিবাসী নারীর ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা করলে নারীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন জহিরুল ইসলামকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং আটক করে রাখে। এই ঘটনায় ১০ আগষ্ট ২০২০ তারিখে গোদাগাড়ী থানায় ঐ আদিবাসী নারী একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু প্রধান আসামী জহুরুল ইসলামকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে গত ১৫ আগষ্ট ২০২০ তারিখে আনিকুল এবং সেন্টু (৪০) জামিনে ছাড়া পায়। এখন ভুক্তোভোগী নারীর পরিবারসহ আদিবাসী গ্রামটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আসামী পক্ষরা প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগীর পরিবার এবং আদিবাসীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।