হিল ভয়েস, ২৯ জুলাই ২০২০, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার অধীনে তামাট গ্রামের মন্টু চন্দ্র কোচের স্ত্রী পুস্প রানী কোচ’কে (২৫) একই গ্রামের মোঃ কামরুল ইসলাম (২৭) পিতা মোঃ কালাম ইসলাম কর্তৃক মারধর ও নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের শিকার পুস্প রানী কোচ হিল ভয়সকে জানান, দৃর্বৃত্তরা প্রায় সময় তাদের বাড়িতে এসে হুমকি ধমকি দিয়ে যেতো। অন্যান্য দিনের মতন আজ ২৯ জুলাই ২০২০ সকালের দিকে স্বামী অন্য একটি গ্রামে দিন মজুরের কাজ করতে যাওয়ার সুযোগে বিকাল ৩:০০ তার দিকে অভিযুক্ত মোঃ কামরুল ইসলাম পুস্প রানী কোচের বাড়িতে এসে তাদের সকল জায়গা-সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং জায়গা-সম্পত্তি তার নামে লিখে না দিলে খুন করে ফেলা হবে বলেও আরেকবার হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে রাগ করে কামরুল ইসলাম পুস্প রানীকে কোচকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। নির্যাতিতার চিৎকার শুনে একপর্যায়ে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে মোঃ কামরুল ইসলাম পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত পুস্প রানীকে উদ্ধার করে ভালুকা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত মোঃ কামরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কোচ আদিবাসী নারীর উপর এমন নির্যাতনের ঘটনায় বাংলাদেশ কোচ আদিবাসী ছাত্র সংগঠনের সভাপতি পাভেল কোচ হিল ভয়সকে বলেন, অবিলম্বে অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার ও শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং সারা দেশে আদিবাসী নারীদের উপর সংঘটিত সকল ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার করতে হবে। এছাড়াও আসামীকে গ্রেফতারে জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন।