হিল ভয়েস, ৫ জুলাই ২০২০, বান্দরবান: বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা কর্তৃক স্বামী ও একমাত্র ছেলে হারা ৭০ উর্ধ্ব এক অসহায় বৃদ্ধা মহিলাকে পুত্রবধুর সহযোগিতায় তার বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে জায়গাজমি জবরদখল করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
বান্দরবান পার্বত্য জেলাধীন সদর উপজেলা ২নং কুহালং ইউনিয়নের ৩২৪ নং চেমী মৌজার হেডম্যান পুলু প্রু মারমা, চেমী ডলুপাড়ার পাড়া কার্বারী থোয়াইচাই হ্রী মারমা, ১নং ওয়ার্ড মেম্বার, পুলা অং মারমা, শৈথোয়াই মং মারমা (লম্বা সুমন) চিংহ্লা মং মার্মা ৪/৫ জনের সহযোগিতায় হয়রানি শুরু করেছে আওয়ামীলীগ নেতা পাইহ্লা অং মারমা।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায় বেশ কয়েক বছর আগে বৃদ্ধা মহিলার স্বামী মারা গেলে এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে চলছিলো তার সংসার জীবন। হঠাৎ বড় ছেলে অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কোন ছেলে সন্তান না থাকায় তাদের বসতভিটার উপর নজর পড়ে বান্দরবান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পাইহ্লা অং মারমার।
ভুক্তভোগী মহিলার ছোট মেয়ে বলেন, আমার মা আজ ভিশন অসুস্থ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত। আমরা কারো কাছে কোন সহযোগিতা পাইনি বরং আমাদের বসতভিটার উপর শকুনের নজর পড়েছে।
পাইহ্লা অং আমাদের পরিবারের কেউ নয়। তার মা ছোট বেলায় মায়ানমারে মারা যাওয়ার পর আমার মা তাকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে। তার মানে এই নয় তাকে আমাদের বসতভিটা দিয়ে দিতে হবে।
২নং কুহালং ইউপি চেয়ারম্যান সানুপ্রু মার্মা বলেন, আমি সব শুনেছি। এটা কখনো সম্ভব নয়, এই বিষয়ে এলাকার মানুষ আমাকে অবহিত করেছে। আমি আইনের আশ্রয় চাইলে বান্দরবান সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তোমার মা’কে বাড়ি থেকে বাইরে নিয়ে গিয়ে অন্যত্রে থাকতে বলো।
আমার পৈত্রিক বাড়িভিটা ছেড়ে অসুস্থ মা’কে নিয়ে কোথায় গিয়ে দাডাঁবো এমন প্রশ্ন করলে উনি মামলা দিবে বলে আমাকে হুমকি দেয়। একজন আইনের মানুষ হয়ে তিনি কিভাবে এমন আচরণ করলো তা আমার বোধগম্য নয়। আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর সহযোগিতা কামনা করছি। কারণ তিনি একমাত্র সঠিক বিচার টি করতে পারবেন।