হিল ভয়েস, ২২ জুন ২০২০, শেরপুর: পাহাড় কেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে ধ্বংস করা হচ্ছে শেরপুর জেলার গারো পাহাড়। এসব পাথর পাচার করা হচ্ছে বিভিন্নস্থানে। প্রভাবশালী ও বনবিভাগের এক শ্রেণির কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব হলেও দেখার যেন কেউ নেই।
দেশের সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার বিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত নয়নাভিরাম গারো পাহাড়। একসময় সরকারি ডাকে পাথর উত্তোলন করে গারো পাহাড়ের ব্যাপক ক্ষতি করা হয়। বর্তমানে এটি বন্ধ থাকায় পাহাড়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য অনেকটাই ফিরে আসে।
কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল ও বনবিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে অবাধে পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন হচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে গাছপালা, নষ্ট হচ্ছে গারো পাহাড়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য।
এছাড়া পাহাড়ের ছোট ঝর্ণার পাড় কেটে পাথর তোলায় ধ্বসে পড়ছে পাহাড়ের উঁচু টিলা। মাঝে মাঝে বন বিভাগের পক্ষ থেকে কিছু পাথর আটক করলেও তা শুধুই লোক দেখানো।
সরেজমিনে পাথর উত্তোলনের বিষয়টি দেখতে গেলে দেখা যায় দিনে দুপুরেই পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন হচ্ছে। এসব পাথর দিনে ভেঙে রাতেই পাচার করা হয় বিভিন্ন স্থানে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় কিছু বন কর্মকর্তা এ বনে আসার পর থেকেই অবৈধভাবে পাথর বালু উত্তোলন করে আসা হলেও তারা দেখেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
উল্টো যারা বাধা দিতে যায় তাদের বিরুদ্ধেই দেয়া হয় মামলা। এ বিষয়ে স্থানীয় বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দের কাছে জানতে চাইলে, তাদের লোকবলের অভাবের কথা বলে পাথর পাচারের কথা স্বীকার করেন।
বনবিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ইলিছুর রহমান, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের লোকবল কম থাকার পরেও তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িতদের নাম জানতে চাইলে তিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
এদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ জানান, পাথর উত্তোলনের বিষয়টি তিনি জানেন না। তিনি দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব