হিল ভয়েস, ২০ জুন ২০২০, বান্দরবান: গত পরশু গোয়েন্দা বিভাগের কয়েকজন লোক কর্তৃক বান্দরবান জেলাধীন বান্দরবান সদর উপজেলার বালাঘাটা এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যা (৪৫) এখন বান্দরবান সদর থানায় পুলিশের হেফাজতে আটক রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
তুলে নিয়ে আটককারী গোয়েন্দা বিভাগ ও সেনাসদস্যদের দ্বারা বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যা ব্যাপক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে ভিকটিম বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যার পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, আজ ২০ জুন ২০২০ শনিবার রাত আনুমানিক ১:৩০ টার দিকে বান্দরবান সদর থানার পুলিশ ভিকটিমের ভাই মেলনসেন তঞ্চঙ্গ্যাকে ফোন করে বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যা তাদের হেফাজতে রয়েছেন বলে খবর দেন।
এরপর আজ সকাল ৮:০০ টার দিকে বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা বান্দরবান সদর থানায় গিয়ে আটককৃত বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যার সাথে দেখা করেন। এসময় পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যাকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন।
কিন্তু পুলিশ তাদের বড় কর্মকর্তা উপস্থিত নেই বলে কারণ দেখিয়ে ছেড়ে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে আসেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন ২০২০, সকাল আনুমানিক ৮:০০ টার দিকে গোয়েন্দা বিভাগের কয়েকজন লোক বান্দরবান সদর উপজেলার বালাঘাটা এলাকা থেকে বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যা (৪৫) পীং-দ্বিবারতন তঞ্চঙ্গ্যা’কে কথা আছে বলে সিএনজি ট্যাক্সিযোগে তুলে নিয়ে যায়।
পরে বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন বান্দরবান সদর থানায় গিয়ে পুলিশের নিকট খোঁজ নিলেও পুলিশ সে বিষয়ে জানেন না বলে জানায়।
জানা গেছে, বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা তাদের এক গোপন আস্তানায় আটক করে রাখে। সেখানে বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যার হাত-পা ও চোখ বেঁধে দিয়ে ব্যাপক মারধর করে।
এরপর আজ ২০ জুন ২০২০, দিবাগত রাত আনুমানিক ১:০০ টার দিকে গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যাকে তাদের বাড়ির নিকটবর্তী বালাঘাটা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের পাশে ছেড়ে দেয় এবং চলে যেতে বলে।
কিন্তু এর পরপরই পুলিশের একটি গাড়ি সেখান এসে পুলিশ বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যাকে বান্দরবান সদর থানায় নিয়ে যায়। আটককৃত বুদ্ধসেনত ঞ্চঙ্গ্যা একজন নিরীহ সাধারণ কৃষিজীবী।
সর্বশেষ জানা গেছে যে, তাকে বান্দরবান ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হয়েছে। গত ১৫ জুন ২০২০ রাতে চাইনা ছাহ্লা মারমাকে হত্যা ঘটনায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আটককৃত বুদ্ধসেন তঞ্চঙ্গ্যাকে মিথ্যাভাবে জড়িত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।