হিল ভয়েস, ৬ মে ২০২০, কক্সবাজার: কক্সবাজারে ১৬ বছরের এক আদিবাসী চাকমা কিশোরী অপহরণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ৫ জুন ২০২০ শুক্রবার দুপুর ১.৪৫ ঘটিকার সময় কক্সবাজার শহরের কস্তুরিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার মোচাখোলা গ্রামের অধিবাসী মংপু চাকমা তার ১৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বাস যোগে কক্সবাজারে ফিরছিলেন। বাসটি কক্সবাজারের সন্নিকটস্থ লিং রোডে পৌঁছলে উখিয়ার গাড়ি ধরার জন্য সেখানে তারা বাবা-মেয়ে নেমে যান।
সেখান থেকে তারা একটি অটোরিক্সায় উঠেন। এ সময় এক অপরিচিত বাঙালিও অটোরিক্সায় উঠে। অটোরিক্সাটি কক্সবাজারের মেইন টাউনের কস্তুরিঘাট এলাকায় পৌঁছলে এই অপহরনের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, কস্তুরিঘাট এলাকায় পৌঁছলে ‘পূবালী ব্যাংকে একটু কাজ আছে’ বলে বাঙালি লোকটি অটোরিক্সাটি থামায়। মেয়ের বাবা মংপু চাকমাকেও অনুরোধ তার সঙ্গে ব্যাংকে গিয়ে সহযোগিতা করার জন্য। এরপর বাঙালি লোকটি মেয়েটিকে অটোরিক্সায় বসিয়ে রেখে মেয়ের বাবাকে নিয়ে যায় পূবালী ব্যাংকের দিকে যায়।
কিন্তু বাঙালি লোকটি কৌশলে মেয়ের বাবাকে ফাঁকি দিয়ে একটা জায়গায় রেখে অটোরিক্সাটি যেখানে রেখে গেছে সেখানে ফিরে আসে। সেখানে এসে লিং রোড থেকে নিয়ে আসা অটোরিক্সাটির ভাড়া পরিশোধ করে বিদায় করে দেয়।
এরপর বাঙালি লোকটি মেয়েটিকে বলে যে, “চলো চলো তোমার বাবা অপেক্ষা করছে, অন্য গাড়িতে করে চলে যাবো”। এই বলে কস্তুরাঘাটের একটি ভাঙ্গাচোড়া দোকানে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে মেয়েটিকে অপহরণ করে।
মেয়েটিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে মেয়েটির বাবা মংপু চাকমা বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কক্সবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক মংথেলার সহযোগিতায় স্থানীয় থানাকে অবহিত করেন।
ঘটনাটি জানাজানি হলে ‘পরে বাঙালি লোকটি আজ ৬ মে শনিবার সকালে মেয়েটিকে একটি অটোরিক্সা ভাড়া করে দিয়ে সরাসরি উখিয়ার মোচাখোলায় পাঠিয়ে দেয়।
এ রিপোর্ট লেখার সময় মেয়েটিকে অপহরণের অভিযোগে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। তবে এখনো অপহরণকারী বাঙালি লোকটিকে গ্রেফতার করা হয়নি।
কিছু দিন আগে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলার শামলাপুরস্থ বাড়ি থেকে ৭ম শ্রেণির এক আদিবাসী ছাত্রীকে (১৫)অপহরণ করা হয়েছিল। তাকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি।