হিল ভয়েস, ২৭ জুন ২০২০, পাবনা: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাবনার চাটমোহর উপজেলায় আদিবাসীদের জন্য ১০টি সেমিপাকা ঘর বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘরগুলো বরাদ্দে উপজেলার হরিপুর-কাজীপাড়া আদিবাসী সমিতির সভাপতি কালিপদ পাহাড়ীর বিরুদ্ধে আদিবাসী সমিতির নামে বরাদ্দ বিভিন্ন অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ওই সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ সদস্যরা।
এ ব্যাপারে সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ সদস্যরা প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা বিষয়টি চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যানকেও জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, এই আদিবাসী সমিতির সভাপতি কালিপদ পাহাড়ী সমিতির সদস্য ও তাদের সন্তানদের জন্য দেওয়া সরকারিভাবে কম্বল, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সম্প্রতি সমিতির নামে একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সভাপতি কালিপদ পাহাড়ী সমিতির কোনো সভা না করে কাউকে না জানিয়ে ক্ষমতা অপব্যবহার করে ওই ঘর নিজের নামেই বরাদ্দ করে নিয়েছেন। সমিতির সদস্যরা তার এই দুর্নীতির প্রতিকারের দাবি করেছেন।
অপরদিকে ছোটশালিখা-কুমারগাড়া আদিবাসী সমিতির সভাপতি সুনীল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই সমিতির সদস্য ছোট শালিকা মহল্লার বৈদ্যনাথ দাসের ছেলে মিলন চন্দ্র দাসের নামে ঘর বরাদ্দের অভিযোগ উঠেছে।
শুধু তাই নয়, সুনীল দাস আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের নামে দেওয়া উপবৃত্তির টাকাও আত্মসাৎ করেছেন বলে সমিতির সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ করেছেন।
তাছাড়া সুনীল চন্দ্র দাস ঘর বরাদ্দ দেওয়া ও ঘর তৈরির উপকরণ সরবরাহ করার বিষয়ে অফিসের সাথে যোগাযোগ থাকায় প্রতিটি ঘর বরাদ্দ দানের নামে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আদায় করেছেন । সমিতির একাধিক সদস্য অভিযোগ করেছেন, কুবিরদিয়ার দাসপাড়া গ্রামের ননী গোপালের ছেলে জীবন চন্দ্র দাস টাকার বিনিময়েই ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন।