হিল ভয়েস, ২২ মে ২০২০, বান্দরবান: বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার নাতিংঝিরি নামক তঞ্চঙ্গ্যা গ্রামে একদল সেনা সদস্য গভীর রাতে তল্লাসী চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় ঘুমন্ত গ্রামবাসীদেরকে ঘুম থেকে তুলে এক জায়গায় জড়ো করে জিজ্ঞাসাবাদ ও হয়রানি করে বলে জানা গেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায় যে, ২২ মে ২০২০ শুক্রবার রাত আনুমানিক ১.০০ টা হতে ২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত রোয়াংছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে ২০-২৫ জনের একদল সেনাসদস্য রোয়াংছড়ি উপজেলার ৩নং আলেক্খ্যং ইউনিয়নের ৯নং ওর্য়াডের নাতিং ঝিরি গ্রামে উক্ত অভিযান চালায়।
সেনা সদস্যরা রাতের অন্ধকারে প্রতিটি ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা লোকজনদেরকে (নারী ও পুরুষ) ঘুম থেকে তুলে এক জায়গায় জড়ো করে।
গ্রামবাসীদের কাছ থেকে সন্ত্রাসী দল আসছে কিনা, সন্ত্রাসী আসার পরও কেন খবর দেওয়া হয়নি কেন ইত্যাদি জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পরবর্তীতে সন্ত্রাসী আসলে যদি খবর দেওয়া না হয়, তাহলে গুলি করা হবে মর্মে হুমকি দেয় সেনা সদস্যরা।
এক পর্যায়ে পাড়ার কলেজ পড়ুয়া এক তঞ্চঙ্গ্যা ছাত্রী প্রতিবাদ করলে তার সাথে সেনা সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়।
সেনা সদস্যরা যাওয়ার সময় আজকের দিনের মধ্যে মেয়েটিকে নিয়ে সেনা ক্যাম্পে দেখা করতে পাড়ার কার্বারীকে নির্দেশ দিয়ে যায় বলে জানা যায়।
এর আগে এ মাসের প্রারম্ভে পর পর তিন রাত রোয়াংছড়ি সেনা ক্যাম্পের সেনারা উক্ত নিতিংঝিরি গ্রামসহ রোয়াংছড়ির কয়েকটি তঞ্চঙ্গ্যা গ্রামে অভিযান চালিয়ে একইভাবে গ্রামবাসীদের ঘুম থেকে জেগে তুলে একটা জায়গায় জড়ো করে। এসময় কমপক্ষে ২৩ বাড়িতে তল্লাশী চালায় এবং ৬ জনকে হয়রানি করে সেনা সদস্যরা।
করোনা মহামারীর সুযোগে এভাবে সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে তল্লাসী অভিযান, হয়রানি, মারধর ও অবৈধভাবে গ্রেফতার করে চলেছে।
সেনা নির্যাতনের এসব ঘটনাগুলো জাতীয় গণমাধ্যমের অন্তরালে থেকে যাওয়ায় সেনাবাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতন দিন দিন ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছে।