হিল ভয়েস, ১৫ মে ২০২০, রাঙ্গামাটি: ২ চিকিৎসক ও ৭ নার্সসহ রাঙামাটিতে নতুন করে ১১ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে রাঙ্গামাটি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ জনে গিয়ে দাঁড়ালো।
১৪ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। আর রাতে আরেকজনের পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায় বলে জানা যায়।
রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা ইউনিটের সূত্রে জানা যায় যে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের দুইজন স্টাফ নার্স ও একজন আয়া (তিনজনই পাহাড়ি), লংগদু উপজেলায় ২ জন (দুইজনই বাঙালি) এবং জুরাছড়ি উপজেলায় ৬ জন (সকলেই পাহাড়ি) করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।
এর আগে ১৩ মে বুধবার রাত ৮টায় দিকে ৯ জন আক্রান্তের খবর আসে। তাদের মধ্যে প্রথমে ছিলেন রাঙামাটি সদর হাসপাতালের ১জন চিকিৎসক, বাইরে প্রাকটিস করা আরেকজন চিকিৎসক এবং বিলাইছড়িতে ২ জন এবং রাজস্থলীতে একজন। একইদিনে রাতে আসলো রাঙ্গামাটি হাসপাতালের ৪ নার্সের পজিটিভ রিপোর্ট।
এর আগে ১২ মে একজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর আগে গত ৬ মে সর্বপ্রথম রাঙ্গামাটি জেলায় ৪ জনের পজিটিভ পাওয়া যায়। এনিয়ে রাঙ্গামাটি জেলায় মোট ২৫ জন করোনা আক্রান্ত হলো। তাদের মধ্যে রাঙ্গামাটি শহরের ২ চিকিৎসক ও ৮ নার্সসহ ১৫ জন, রাজস্থলীতে ১ জন, জুরাছড়িতে ৬ জন, লংগদুতে ২ জন এবং বিলাইছড়িতে ২ জন।
ডা: মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন যে, এখন পর্যন্ত রাঙ্গামাটি থেকে চট্টগ্রামে সর্বমোট ৫১১টি সেম্পল পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৪০১টি রিপোর্ট পাওয়া গেছে এবং ১১০টি রিপোর্ট এখনো পর্যন্ত অপেক্ষমান রয়েছে। প্রাপ্ত রিপোর্টগুলোর মধ্যে ২৫টি ছাড়া বাকিগুলোর নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাঙামাটিতে কেউ মারা যাননি।
১ জন নতুন আক্রান্তসহ খাগড়াছড়িতে ৫ জন শনাক্ত
খাগড়াছড়িতে নতুন একজন যুবকের (১৮) আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ফেরত উক্ত ব্যক্তি ৭ মে ২০২০ করোনা উপসর্গ নিয়ে খাগড়াছড়ি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
সুস্থ হয়ে উঠায় তাকে ১৪ মে বৃহস্পতিবার সকালে ছাড়পত্র দেয়া হয়। কিন্তু বিকালে চট্টগ্রাম ভেটেনিরারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার করোনা পজিটিভ রিাপোর্ট আসে।
এর আগে খাগড়াছড়িতে এক পুলিশ সদস্যসহ নতুন করে আরও তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তারও আগে দীঘিনালায় একজন পাহাড়ি যুবকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এ নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ জনে।
তিন জনের মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার মনারটেক এলাকার বাসিন্দা ঢাকা ফেরত একজন পাহাড়ি এবং কেয়াংঘাট এলাকার একজন সেটেলার নারী।
অপরদিকে পুলিশ সদস্য পাবনা থেকে বদলি হয়ে ৪ মে খাগড়াছড়ি আসার পর তাকে পুলিশ লাইন্স স্কুলের একটি কক্ষে আইসোলেশনে রাখা হয়। এরপর ৫ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাঠানো হলে তার পজিটিভ রেজাল্ট আসে।