হিল ভয়েস, ২ মে ২০২০, রাঙ্গামাটি: বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পার্বত্য চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজের কার্যক্রমে অধিক সমন্বয় আনায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন চাকমা সার্কেলের প্রধান ও চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় এক যুগোপযোগী মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন।
চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ের ফেসবুক ওয়াল থেকে জানা যায় যে, জ্যৈষ্ঠ নেতা, প্রাক্তন স্থানীয় সরকার পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি, গৌতম দেওয়ান, প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মনি স্বপন, চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রানী য়েন য়েন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রজুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডঃ রনজ্যতি চাকমা সহ রাঙামাটি শহরের নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে চাকমা সার্কেলের প্রধান ও চাকমা রাজা, দেবাশীষ রায়ের তারবাসভবনে ৩০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে দীর্ঘ আলাপ হয়।
আলোচনার মুল বিষয়বস্তু ছিলো কিভাবে বৈশ্বিক মহামারী কোরনাভাইরাস মোকাবেলায় পার্বত্য চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজের কার্যক্রমে অধিক সমন্বয় আনা যায়, বিশেষ করে, একাধারে অপ্রয়োজনীয় দ্বৈততা এবং অন্যধারে সম্পূর্ণ বঞ্চনা, এই দুইকে কিভাবে এড়ানো যায়।
নিম্নলিখিত বিষয়ে নেতৃবৃন্দ ঐকমতে পৌঁছেছেন। তাঁরা সরকারের কোরোনা প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রমের অনস্বীকার্য গুরুত্ব সমর্থন করছেন। তবে, মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের যথাসাধ্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দেশের প্রত্যন্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রেক্ষাপট-ভিত্তিক চাহিদা পূরণ না হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই তাঁরা সরকারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও নেটওয়ার্ক সহ অন্যান্য বেসরকারী সংস্থা এবং সামাজিক নেতা ও কর্মীর ভূমিকার উপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট সকলকে পার্বত্য চট্টগ্রামে কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যক্রম শুরু করতে আহবান জানান। একই সাথে, যে কার্যক্রমসমূহ এ যাবত চলমান রয়েছে, তার পরিধি বিস্তার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণেরও আহবান জানিয়েছেন।
কাংক্ষিত কার্যক্রম ও ফলাফল আনয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের অভ্যন্তরে ও বাইরে অবস্থিত পার্বত্য নাগরিক সমাজের ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংগঠন ও নেটওয়ার্ক সমূহের মধ্যে এবং নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
সাময়িকভাবে চিহ্নিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহের মধ্যে রয়েছেঃ (ক) সচেতনতা বৃদ্ধি, (খ) সুবিধা বঞ্চিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর নিকট খাদ্য সরবরাহ, (গ) অধিক খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ক্যাম্পেইন, এবং (ঘ) কর্মচ্যুত কারখানার কর্মী ও অন্যান্য বেকার যুবতী-যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ।
নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য নেতৃবৃন্দ কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনের তালিকা প্রণয়ন করেছেন। তাঁরা একটি ডাটাবেইস স্থাপন করবেন, যা নাগরিক সমাজকে অতিদ্রুত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু ও জরুরী সহায়তাপ্রার্থী জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে সহায়ক হবে।
চিহ্নিত সুবিধা বঞ্চিত জনগণের মধ্যে রয়েছে প্রত্যন্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, গার্মেন্টস সেক্টর থেকে চাকরীচ্যুত বা গার্মেন্টস সেক্টরের সাবেক কর্মী, আভ্যন্তরীন উদ্বাস্তু, রোগী, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা, বয়োজ্যেষ্ঠ ও প্রতিবন্ধী।