হিল ভয়েস, ২ এপ্রিল ২০২০, বাঘাইছড়ি: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের প্রত্যন্ত উদলছড়ি চাকমা পাড়ায় হামে আক্রান্ত হয়ে আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত ৩১ মার্চ ভোরে ১৫ বছরের শিশুটি মারা যায় বলে জানা গেছে। এ নিয়ে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলা এবং বান্দরবান জেলার লামা ও রুমা উপজেলা- এই চারটি উপজেলায় হামে আক্রান্ত হয়ে ১০ শিশু মারা গেল।
এছাড়া সাজেক ইউনিয়নের বড়ইতলি পাড়া, চিপ পাড়া, সাত নং পাড়া, উজানছড়ি পাড়া, শিলছড়ি পাড়া, কজইছড়ি পাড়া, ভুয়াছড়ি পাড়া, লাম্বাবাক পাড়া ও বেতবুনিয়া এলাকায় নতুন করে শিশুরা হাম আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, ফেব্রুয়ারি শেষ থেকে সাজেক ইউনিয়নের অরুণ পাড়া, লুংতিয়ান পাড়া, তরুণ ত্রিপুরা পাড়া, কমলাপুর চাকমা পাড়া, নিউথাং/নতুন পাড়া, হাইচ্যাপাড়া ইত্যাদি প্রত্যন্ত আদিবাসী জুম্ম গ্রামে প্রায় আড়াই শতাধিক ব্যক্তি হামে আক্রান্ত হয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সাজেক ইউনিয়নের উল্লেখিত গ্রামে ৮ জন শিশু মারা গেল হামে আক্রান্ত হয়ে। এছাড়া বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার লাল্যাপাড়ায় একজন ম্রো শিশু এবং খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের রতি চন্দ্র ত্রিপুরা পাড়ায় একজন ত্রিপুরা শিশুর মৃত্যু হয়।
জানা যায়, হামে আক্রান্ত এসব এলাকায় এযাবৎ শিশুদের টিকা প্রদান করা হয়নি। কোন চিকিৎসকও এসব এলাকায় যাননি। এসব এলাকায় জুম্ম অধিবাসীরা মূলত জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। জুম থেকে তারা বড়জোর তিন থেকে ছয় মাসের খাদ্যশস্য যোগার করতে পারেন। বাকি সময় তাদের আধা পেটা বা না খেয়ে থাকতে হয়। ফলে এলাকায় অধিকাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
সূত্র: প্রথম আলো