হিল ভয়েস, ২১ এপ্রিল ২০২০, ব্রাক্ষণবাড়িয়া: গত ১৭ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের মেরকুটা গ্রামের একঅসহায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের উপর হামলার খবর পাওয়া যায়। হামলায় একই পরিবারের সাত সদস্য আহত হয়।
হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলো দীপক সাহা (৫৫) ও তার স্ত্রী অর্চনা রাণী সাহা (৫০), তার ছেলে আকাশ সাহা (২৩), মেয়ে ঝুমা সাহা(২৩), দীপক সাহার ছোট ভাই লোটন সাহা (৪৯), তার স্ত্রী প্রতিভা রানী সাহা (৪০)। হামলা শেষে তাদের এলাকা ছাড়ার কথাও বলা হয়।এলাকা ছেড়ে না গেলে স্বপরিবারে তাদের হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।
হামলাকারি বিদ্যাকুট ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রোফের ভাতিজা মো.তাহের মিয়া (৫৫) ও তার দলবল।
হামলার প্রতিকার চেয়ে চেয়ারম্যানের ভাতিজা তাহের মিয়াকে প্রধান আসামি করে অসহায় পরিবারটি নবীনগর থানায় একটি অভিযোগদায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মেরকুটা গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রোফের আপন বড় ভাইয়ের ছেলে তাহেরমিয়ার সাথে জমি সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দীপক সাহার। উক্ত বিরোধের জেরে প্রায়ই দীপক সাহার পরিবারেরউপর বিভিন্নভাবে অন্যায় অত্যাচার সহ তাদের স্বপরিবারে তাদের নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করে তাহের মিয়ার লোকজন।
এমতাবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে তাহার মিয়া (৫৫), তার ছোট ভাই শাহেদ মিয়া (৪৫), মিজান মিয়া(৩৫), জিবন মিয়া (৩০), তার ছেলে মামুন মিয়া (২৫), মোবারক মিয়া (১৯) পরিকল্পিত ভাবে দীপক সাহার পরিবারের উপর হামলাচালায়।
হামলা শেষে তাদের এলাকা ছাড়ার কথাও বলা হয়। এলাকা ছেড়ে না গেলে স্বপরিবারে তাদের হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।
অসহায় দীপক সাহা জানান, এঘটনার প্রতিকার চেয়ে নবীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগ দায়ের করেও এখনবিপদে আছি। অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের সামনেই আমাদের হুমকি দেয়।
আভিযোক্ত তাহার মিয়া তার বিরোদ্ধে আনিত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দীপক সাহার সাথে একটি জায়গা নিয়ে আমাদেরমোকদ্দমা আছে। সে বিষয় নিয়ে তাদের সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনোজিত রায় জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: মানবকণ্ঠ