হিল ভয়েস, ১১ এপ্রিল ২০২০, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলায় হেমন্ত চাকমা নামে জনৈক ইউপি মেম্বার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনার জেরে সেনাবাহিনী জুরাছড়ি উপজেলাধীন দুমদুম্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শান্তিরাজ চাকমা ও আনন্দ চাকমা নামে আরেক গ্রামবাসীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, গতকাল ১০ এপ্রিল ২০২০ রাত ১১টার দিকে বনযোগীছড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেমন্ত চাকমা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
এই ঘটনা বনযোগীছড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ধামাই পাড়াস্থ হেমন্ত চাকমার বাড়ির অদূরে একটি দোকানের সামনে ঘটে বলে জানা যায়। তবে হেমন্ত চাকমা কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিংবা কে বা কারা গুলি করেছে কিনা তা নিশ্চিত করে স্থানীয়রা জানাতে পারেননি।
স্থানীয় সূত্র জানায় যে, ঘটনার পর পরই রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেনাবাহিনী আনন্দ চাকমাকে তার নিজ বাড়ি থেকে এবং দুমদুম্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শান্তিরাজ চাকমাকে জুরাছড়ি উপজেলা সদরস্থ কোয়ার্টার থেকে রাত ১টায় ধরে নিয়ে যায়।
আটককৃতদের আত্মীয়রা জানান যে, ঘটনার পর পরই ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে সেনাবাহিনী শান্তিরাজ চাকমা ও আনন্দ চাকমাকে ধরে নিয়ে যায়।
সকালে আত্মীয়-স্বজনরা সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করলে শান্তিরাজ চাকমা ও আনন্দ চাকমাকে তারা ধরে নিয়েছে বলে সেনা কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানান যে, ১১ এপ্রিল কাপ্তাই জেটিঘাটের আইস ল্যান্ড ক্যাম্প হতে চারটি ট্রলার যোগে ৫০ জনের অধিক সেনা সদস্য বিলাইছড়ি উপজেলার নাড়াইছড়ির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আরেকটি দল হিজাছড়ি সরকারি প্রাইমারী স্কুলে অবস্থান নিয়েছে।
অন্যদিকে জুরাছড়ির ফকিরাছড়ি ক্যাম্প থেকে আরেক দল সেনাসদস্য বালিশ পাড়া, পানছড়ি ও বামে মৈদঙে পেট্রোলিঙে বের হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।