জুরাছড়িতে সেনা-পুলিশ কর্তৃক ২ নিরীহ জুম্মকে আটক, পরে মুক্তি

হিল ভয়েস, ১৯ এপ্রিল ২০২০, রাঙ্গামাটি: আজ রবিবার সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথদল কর্তৃক রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলাধীন বনযোগীছড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড থেকে দুইজন নিরীহ জুম্ম গ্রামবাসীকে ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, ১৯ এপ্রিল সকাল ৯:০০ ঘটিকার সময় রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলা সদরস্থ জুরাছড়ি (যক্ষ্মাবাজার) সেনা ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার আনোয়ারের নেতৃত্বে ১০ জন সেনা ও ৬ জন পুলিশের একদল সদস্য উপজেলার বনযোগীছড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বেকাবেক্যা পানছড়ি গ্রামের শান্তিরতন চাকমা (৩৫), পীং মৃত নোকবিলাশ চাকমাকে ধরে নিয়ে যায়। শান্তি রতন চাকমা সাধারণ খেটে খাওয়া লোক বলে জানা যায়।

অপরদিকে দুপুর ১:০০ ঘটিকায় উক্ত সেনা-পুলিশ দল বনোযোগীছড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের লেবার পাড়া থেকে পদ্মধর চাকমা (৫০), পীং হিরামন চাকমাকে ধরে নিয়ে যায়।

পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে, সেনা ও পুলিশ সদস্যরা সুনির্দিষ্ট কোন কারণ দেখাতে পারেনি। তবে সেনা-পুলিশ সদস্যরা ৫৪ ধারার আওতায় যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে বলে জানায়।

তবে আজ সন্ধ্যায় ৭টার দিকে লিখিত শর্ত সাপেক্ষে স্থানীয় মুরুব্বী ও জুরাছড়ির স্থানীয় সংবাদ কর্মী মন্ত চাকমার জিম্মায়শান্তি রতন ও পদ্মধর চাকমা যক্কা বাজার সেনা ক্যাম্প নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায় যে, বিকালের দিকে জুরাছড়ির বনযোগীছড়া সেনা জোন থেকে ২৫/৩০ জনের একদল সেনা সদস্য যক্ষ্মা বাজারে এবং শিলছড়ি ক্যাম্প থেকে ১৫/২০ জনের আরেকদল সেনা দুরহাটছড়া সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয় এলকায় টহল দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, করোনাভাইরাসের সংকটের মধ্যেও সেনাবাহিনী বর্তমানে প্রায় নিয়মিত জুরাছড়ি এলাকায় জুম্মদের গ্রামে গ্রামে উপর্যুপরি তল্লাশী অভিযান চালাচ্ছে এবং গ্রামবাসীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ও হয়রানি করছে।

More From Author