হিল ভয়েস, ২৫ এপ্রিল ২০২০, সাতক্ষীরা: সারাদেশে হঠাৎ করে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব ও লকডাউনের ফলে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে উপকূলীয় আদিবাসী মুন্ডাদের দুঃখ-দুর্দশাকে। কর্মহীন অবস্থায় খাদ্য সংকটের মধ্যে তারা খুব কষ্টে দিন যাপন করছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলে মুন্ডা আদিবাসীদের বসবাস। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ৪৬০টি মুন্ডা পরিবারের বসবাস। এদের জনসংখ্যা তিন হাজারের সামান্য বেশি।
এরা প্রায় সবাই দরিদ্র ও এদের শিক্ষার হার খুব নগন্য। এ অঞ্চলের মুন্ডা আদিবাসীরা অধিকাংশই দিনমজুর, ইট ভাটার শ্রমিক ও মাছ-কাঁকড়া সংগ্রহ করে জীবন নির্বাহ করে।
এক কথায় তাদের জীবন দিনে আনে দিনে খায় অবস্থা। একদিন কাজ না করলে বা একদিন কাজ না পেলে তাদের অবস্থা বারোটা বাজে।
এই যখন তাদের সাধারণ চিত্র সেখানে হঠাৎ করে কোভিড ১৯ এর প্রাদুর্ভাব ও লকডাউন তাদের দুঃখ-দুর্দশাকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় তারা খুব কষ্টে দিন যাপন করছে।
মুন্ডাদের নিয়ে কাজ করে বেসরকারি সংস্থা সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস)-এর পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা জানান, এখন পর্যন্ত ২১৫টি মুন্ডা পরিবার সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে। মুন্ডারা দরিদ্র থেকেও দরিদ্র হওয়ায় তাদেরকে আরো সহযোগিতার অবকাশ রয়েছে।
কাঁকড়া প্রজেক্টে কাজ করা জনৈক এক মুন্ডা বলেন, করোনার পূর্বে প্রতি মাসে বেতন পেতাম। করোনার কারণে এখন কাজ বন্ধ। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।
ঐ এলাকার জগদীশ চন্দ্র মুন্ডা জানান, মহামারী করোনা দুর্যোগের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। কাজ করতে পারছি না। আমরা কী খাব? একটা ত্রাণের ব্যাগ পেয়েছি। তাতে তিন দিনের খাবার ছিল। তাও ফুরিয়ে গেছে। সামনের দিনগুলো কীভাবে পার করবো?
সূত্র: আইপিনিউজবিডি