হিল ভয়েস, ২৫ এপ্রিল ২০২০, রাঙ্গামাটি: করোনাভাইরাসের দুর্যোগেও রাঙ্গামাটির রাজদ্বীপে আবার সেনা অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, গত ২৪ এপ্রিল ২০২০ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭:৩০ টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙ্গামাটি সদর সেনাজোনের ৫৫-৬০ জনের একটি সেনা টহলদল পাঁচটি ছোট দলে বিভক্ত হয়ে আবারও রাঙ্গামাটি জেলা সদরের রাজদ্বীপ এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। যা এলাকার জনগণের মধ্যে ব্যাপক হয়রানি, উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
এসময় সেনাসদস্যরা ফরেন চাকমার (৩৫) বাড়িসহ আশেপাশের বেশ কযেকটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় এবং পথচারীদের আটকে রেখে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জানা গেছে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রতুল চাকমা (২৫), রুবেল চাকমা (২৪) ও প্রতিময় চাকমা (৩৪) নামে তিন যুবককে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে তাদের সাথে এলাকায় ঘুরতে বাধ্য করে।
প্রায় দুই ঘন্টা তল্লাশি অভিযান ও হয়রানি শেষে সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সারাদেশে করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, লকডাউন কার্যকর করা ও সচেতনতামূলক কাজে সেনাবাহিনী সক্রিয় থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে করোনা দুর্যোগকে কাজে লাগিয়ে প্রধানত জুম্ম গ্রামে তল্লাসী অভিযান পরিচালনা করে চলেছে।
তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্ম জনগণ বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারীর সময়ে একদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক, অন্যদিকে সেনাবাহিনীর অভিযানে নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
এটাই হচ্ছে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের প্রবর্তিত ২০০১ সালের ‘অপারেশন উত্তরণ’ নামক পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসনের বর্বরতা।