হিল ভয়েস, ৬ মার্চ ২০২০, খাগড়াছড়ি: গত ৪ মার্চ ২০২০ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাধীন রামগড় উপজেলার রামগড় ইউনিয়নে মো: আব্দুল মান্নান ওরফে মনু মিয়া (২১) নামে এক বাঙালি সেটেলার কর্তৃক মারমা সম্প্রদায়ের ১৫ বছর বয়সী এক জুম্ম কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত ৫ মার্চ ২০২০ রাতে ধর্ষিতার মা ওয়াপ্রু মারমা এ ব্যাপারে বাদি হয়ে রামগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। এরপর গত ৬ মার্চ ২০২০ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিম কিশোরীকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে খবর পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধর্ষিতার গলায় চেপে ধরার দাগসহ ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত মনু মিয়াকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা গেছে, গত ৪ মার্চ ২০২০ দুপুর আনুমানিক ২:০০ টার দিকে সেটেলার মনু মিয়া বেলতলা-বড়খেদা নামক এলাকায় বাড়িতে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে ঐ কিশোরীকে জোরপূর্বক পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। এক সময় সেখানে কিশোরীকে ধর্ষণের পর অজ্ঞান অবস্থায় রেখে মনু মিয়া পালিয়ে যায়। পরে প্রায় মধ্যরাতে জ্ঞান ফিরে এলে কিশোরী চিৎকার করতে করতে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। এক পর্যায়ে কিশোরীর চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
জানা গেছে, ঐদিন সকালে কিশোরীর পিতা-মাতা দু’জনেই রামগড় বাজারে গিয়েছিলেন। বাজার থেকে ফেরার পর মেয়েটিকে না পেয়ে তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন এবং আত্মীয়-স্বজনকে অবহিত করেন।
জানা গেছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত মো: আব্দুল মান্নান ওরফে মনু মিয়া বেলতলা-বড়খেদার পার্শ্ববর্তী মুসলিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো: আলফাজ উদ্দিনের ছেলে। তবে বর্তমানে তারা রামগড় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বল্টুরাম টিলা(ইসলামপুর) এলাকায় বসবাস করছে বলে জানা যায়।