হিল ভয়েস, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বান্দরবান: গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রোজ শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬:৩০ ঘটিকার সময় মুখোশ ও হাফ প্যান্ট পরিহিত ৮-১০ জন অস্ত্রধারী এলোপাতাড়ি গুলি করতে করতে জামছড়িমুখ বাজারের মানিক ঘোষ-এর চা দোকানে প্রবেশ করে। এ সময় দোকানে বসে থাকা বান্দরবান সদর উপজেলার ১নং রাজভিলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচনু মারমাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে বাচনু মারমা দৌড়ে পালানো চেষ্টা বরে। পালানোর সময় সন্ত্রাসীরা তার বুকে, পেটে ও পিঠে গুলি করে হত্যা করে।
এ সময় দোকানে থাকা মংক্যচিং মারমা (২৫) ও ক্যপ্রু মং মারমা গুলিবিদ্ধ হন। দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা সাবেক মেম্বার উচথোয়াই (৬০) ও হ্লামংসিং মারমা অন্য একটি দোকানের সামনে এবং আদামে মারমা (৩০) বৌদ্ধ বিহারের গেইটে সিঁড়ির সামনে গুলি বিদ্ধ হয়ে আহত হন। বাজারে গোলাগুলির আওয়াজ শুনে জামছড়িমুখ পাড়া নিবাসী বাখই মারমা (৬৭) অতি আতংকে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজ বাড়ীতে মারা যান।
এলাকাবাসী সূত্র থেকে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে জামছড়িমুখ পাড়া, জামছড়ি ভিতর পাড়াসহ আশে পাশে কয়েকটি গ্রাম তথা ৭নং ওয়ার্ডের নেতৃত্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকার নেতৃত্ব দু’ভাগে বিভক্ত হয়। এক পক্ষ সাবেক মেম্বার অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা মংপু মারমা এবং অপরপক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএনপি নেতা উচপ্র মারমা।
যেহেতু দু’ভাইয়ের মধ্যে যেমনি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, তেমনি পারিবারিক ও সম্পত্তির দ্বন্দ্বও রয়েছে। বর্তমান সময়ে বান্দরবানে বিভিন্ন এলাকায় এএলপি (তথা মগ পার্টির) আধিপত্য রয়েছে। সে কারণে জেএসএস-এর বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির জন্য সুকৌশলে উক্ত ঘটনাটি মগ পার্টির ষড়যন্ত্রে সংঘটিত হতে পারে বলেও অনেকে মনে করেন।