হিল ভয়েস, ২০ অক্টোবর ২০১৯, ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটির ৪র্থ সভা গত ২০ অক্টোবর ২০১৯ সকাল ১১টায় ঢাকাস্থ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির অপর দুই সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা এবং ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু পুনর্বাসন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি, উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, অন্যান্যের মধ্যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, মন্ত্রণালয়ের সচিব মিসবাহুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য গৌতম কুমার চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৬ জুন ২০১৯ অনুষ্ঠিত ৩য় সভার চারমাস পর ৪র্থ সভা অনুষ্ঠিত হল।
সভায় বিগত সভার কার্যবিবরণীর অনুমোদন এবং বিগত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতির উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিগত সভার সিদ্ধান্তবলীর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ন প্রসঙ্গে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মিসবাহুল ইসলাম জানান যে, ভূমি কমিশনের বিধিমালা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীপরিষদে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জনসংহতি সমিতির সভাপতি বলেন, জনসংহতি সমিতির পেশকৃত খসড়া বিধিমালার উপর ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সংশোধনী প্রেরণ করা হয়েছিল। উক্ত সংশোধনীর উপর জনসংহতি সমিতি/আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে পুন:সংশোধনী পাঠানো হয়। কিন্তু জনসংহতি সমিতি/আঞ্চলিক পরিষদের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে কিনা তা জনসংহতি সমিতি/আঞ্চলিক পরিষদকে না জানিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কিভাবে মন্ত্রীপরিষদে পাঠানো হলো তা শ্রী লারমা বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ সময় আলাপ-আলোচনার পর জনসংহতি সমিতি/আঞ্চলিক পরিষদের উক্ত সংশোধনী প্রস্তাব আবারো পাঠানোর জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিগত সভার সিদ্ধান্তবলীর মধ্যে অহস্তান্তরিত বিষয়সমূহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি বলে আলোচনায় উঠে আসে। কাজেই অহস্তান্তরিত সকল বিষয় নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যথাশীঘ্র হস্তান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া হস্তান্তরিত বিষয়সমূহ যথাযথভাবে হস্তান্তরের নিমিত্তে পর্যালোচনা করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে পুনরায় হস্তান্তরেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তিন পার্বত্য জেলায় জেলা প্রশাসন ও পার্বত্য জেলা পরিষদের মধ্যে সমন্বয়ের সমস্যা সম্পর্কে পর্যালোচনা করা হয়। উদাহরণ হিসেবে পার্বত্য চুক্তি তথা পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনকে লঙ্ঘন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা তত্ত্বাবধান ও সমন্বয়ের ক্ষমতা জেলা প্রশাসককে প্রদান করে সার্কুলেশন জারি করা হয়েছে বলে জনসংহতি সমিতির সভাপতি তুলে ধরেন।
সভায় রাবার চাষের জন্য অস্থানীয়দের নিকট প্রদত্ত লীজ বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এক্ষেত্রে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর পার্বত্য মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য জেলা পরিষদ, সার্কেল চীফের কার্যালয়, জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে সরেজমিন তদন্ত করে লীজ বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ৪৬ ধারা মোতাবেক আঞ্চলিক পরিষদ কর্তৃক প্রবিধানমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ১৯৯৬ সালের কার্যবিধিমালা অনুসারে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের এসআরও নম্বর গ্রহণ ও ভেটিং গ্রহণ বাধ্যবাধকতা আরোপ প্রসঙ্গে জনসংহতি সমিতির সভাপতি শ্রী লারমা বলেন, ১৯৯৬ সালের কার্যবিধিমালা সারাদেশের জন্য প্রযোজ্য হলেও পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশেষ শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে এবং তদনুসারে আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে প্রবিধান প্রণয়নের এখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে। কাজেই ১৯৯৬ সালের কার্যবিধিমালা পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রযোজ্য নয় এবং তদনুসারে আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের এসআরও নম্বর গ্রহণ ও ভেটিং গ্রহণের বিধান কার্যকর নয়। তাই শ্রী লারমা ১৯৯৬ সালের কার্যবিধিমালা পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রয়োগ না করার মতামত তুলে ধরেন। এসময় পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব একটি গোপন প্রতিবেদনের অংশ বিশেষ পড়ে শোনান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটি, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের জনবল নিয়োগ; পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন কার্যক্রম, জনসংহতি সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। জনসংহতি সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলা প্রত্যাহার, হয়রানি বন্ধকরণ ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত বিগত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রসঙ্গে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান যে, মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে ১৯-০৯-২০১৯ তারিখে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। এরপর আর কী অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব জানাতে পারেননি। এ সময় জনসংহতি সমিতির তরফ থেকে সমিতির সদস্য ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৭টি সাজানো মামলার নথিপত্র জমা দেয়া হয়। অবশিষ্ট মামলাগুলোর নথিপত্র পরে প্রেরণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় পার্বত্য মন্ত্রণালয় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়। অন্যান্যের মধ্যে উক্ত প্রতিবেদনে ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ২৪০টি অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এখনো ২১৭টি ক্যাম্প পার্বত্য চট্টগ্রামে বলবৎ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রত্যাহৃত ক্যাম্পগুলো পুলিশ ও এপিবিএন দিয়ে পুরণ করা হয় বলে জানান। এসময় জনসংহতি সমিতির সভাপতি বলেন, পার্বত্য চুক্তিতে স্থানীয় পার্বত্য পুলিশ বাহিনী গঠনের বিধান রয়েছে। চুক্তি অনুসারে স্থানীয় পার্বত্য পুলিশ গঠন না করে প্রত্যাহৃত ক্যাম্পগুলোতে আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা সঠিক নয় বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য যে, পার্বত্য মন্ত্রণালয় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের উপর পূর্বের মতো গতানুগতিক, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
উল্লেখ্য যে, সভার শুরুতে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক রাঙ্গামাটিতে আইন-শৃঙ্খলা মিটিং অনুষ্ঠিত করার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী লারমা বলেন, সাধারণ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়টি সমন্বয় ও তত্ত্বাবধান করার দায়িত্ব আঞ্চলিক পরিষদের এবং আইন-শৃঙ্খলা সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং পুলিশ (স্থানীয়) বিষয়টি তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতাধীন কার্যাবলী ও বিষয়। কিন্তু আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সাথে কোনরূপ আলোচনা না করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক কীভাবে পদ্ধতি-বহির্ভূতভাবে উক্ত আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত করতে পারে বলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। সভায় কেবলমাত্র আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু উক্ত সভা আয়োজনের ক্ষেত্রে সভার কর্মপরিকল্পনা ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সাথে আলোচনা করা হয়নি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শ্রী লারমা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে হানাহানি, খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ইত্যাদির পেছনে একটা প্রেক্ষাপট রয়েছে। অথচ সে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গিয়ে একতরফা ও ঢালাওভাবে খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্রের অভিযোগ আনা হয় এবং সভায় উস্কানীমূলক ও হুমকিমূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়। বিশেষ করে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, র্যাবের মাহপরিচালক ও পুলিশের আইজির বক্তব্য ছিল খুবই আগ্রাসী, উস্কানীমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। এতে করে জনমনে তীব্র আতঙ্ক, চরম উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানান। এধরনের সভা আয়োজনের ক্ষেত্রে আগে আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য জেলা পরিষদ, সার্কেল চীফ প্রভৃতি কর্তৃপক্ষের সাথে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের আলোচনা করা উচিত ছিল বলে তিনি জানান। শ্রী লারমা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণেই আজকে পার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি এমন জটিল অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।
শ্রী লারমার প্রস্তাব অনুসারে ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্টদের সবাইয়ের সাথে আলোচনা করে এধরনের সভা আয়োজন করা হবে বলে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর জানান। উল্লেখ্য যে, চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটির অগোচরে একতরফভাবে এধরনের আইন-শৃঙ্খলা সভা আয়োজনের জন্য চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে তাঁর সাথে আলোচনা করা ও উক্ত সভায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল।
গত ২১ অক্টোবর ২০১৯ জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ও কেন্দ্রীয় সদস্য গৌতম কুমার চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনে চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহের সাথে দেখা করতে যান। এসময় তারা আবুল হাসনাতকে সেনাবাহিনী কর্তৃক পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্যাবলীসহ প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কার্যক্রমের উপর হস্তক্ষেপ; নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় কায়েমী স্বার্থান্বেষী কর্তৃক জনসংহতি সমিতির সদস্য ও সমর্থকদের উপর দমন-পীড়ন, সংস্কারপন্থী ও এএলপিদের খুন-খারাবি ও চাঁদাবাজি কার্যক্রমে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ প্রদান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং আরএসও/আরসা সংগঠনকে প্রশ্রয় দেয়া ইত্যাদি বিষয়াদি সম্পর্কে অবহিত করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বাস্তবায়নের উপর পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের দাখিলকৃত প্রতিবেদনে অধিকাংশের ক্ষেত্রে অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করা হয়েছে বলে শ্রী লারমা অভিমত তুলে ধরেন। তাই পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটির আলোচনা করে সঠিক ও যথাযথ তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি সংশোধনের জন্য প্রস্তাব গৃহীত হয়। কোন কোন বিষয়গুলোর উপর সংশোধনী প্রস্তাব আনা যায় তা পরিচিহ্নিত করতে চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের সচিবকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।