হিল ভয়েস, ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের গোয়েন্দা পরিদপ্তর হতে ইস্যুকৃত সার্কুলেশনের সূত্র ধরে ১লা নভেম্বর ২০১৮ “সাধারণ বাঙালি জনগোষ্ঠী এবং বাঙালি আঞ্চলিক দলসমূহের প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী ও অসামরিক প্রশাসনের বর্তমান মনোভাব এবং সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব প্রসঙ্গে” শীর্ষক এক সাম্প্রদায়িক ও পার্বত্য চুক্তি পরিপন্থী নির্দেশনা জারি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
উক্ত স্মারকে বলা হয় যে, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের গোয়েন্দা পরিদপ্তর হতে সাধারণ বাঙালি জনগোষ্ঠী এবং বাঙালি আঞ্চলিক দলসমূহের প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী ও অসামরিক প্রশাসনের বর্তমান মনোভাব এবং সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব বিষয়ে করণীয় আদেশ দেয়া হয়। উক্ত আদেশে সুপারিশ করা হয় যে-
(ক) নিরাপত্তা বাহিনী এবং প্রশাসন কর্তৃক বাঙালিদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও মানবিক আচরণ এবং হেয় প্রতিপন্ন না করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে;
(খ) বাঙালি সংগঠন কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচী পালন ও বাঙালিদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে;
(গ) সোনামিয়া টিলাসহ বাঙালিদের বেদখল হয়ে যাওয়া ভূমি উদ্ধারে পূর্ণ প্রশাসনিক ও আইনী সহায়তা প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে; এবং
(ঘ) পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে সমতলে বাঙালিদের সম্ভাব্য স্থানান্তর রোধকল্পে তাদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার কার্যকরী পরিকল্পনা প্রণয়ন করার পাশাপাশি এদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এনজিও, স্থানীয় প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে কার্যকরী ভূমিকা পালনে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে।
উক্ত সাম্প্রদায়িক ও চুক্তি পরিপন্থী সার্কুলেশন জারির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা এধরনের বিতর্কিত ও চুক্তিবিরোধী সার্কুলেশন প্রদানের বিরুদ্ধে নিন্দা জানান। তিনি আরও বলেন, ইহা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সরাসরি লংঘন। তিনি অবিলম্বে এই সার্কুলেশন প্রত্যাহারের দাবি জানান।