হিল ভয়েস, ১৭ আগস্ট ২০২১, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নে বাঙ্গালহালিয়া সেনা ক্যাম্পে কাপ্তাই সেনা জোনের জোন কম্যান্ডার লে: কর্নেল মো: মিজানুল হক, বাঙ্গালহালিয়া সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ক্যাম্প কম্যান্ডার লে: সাদ মাহমুদ ও ওয়ারেন্ট অফিসার রাশেদ খান সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং সেনামদদপুষ্ট সন্ত্রাসী সংগঠন মারমা ন্যাশনাল পার্টি (মগ পার্টি) ও সংস্কারপন্থী দলের প্রতিনিধিদের সাথে এক গোপন বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে পার্বত্য চুক্তির পক্ষীয় জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র সদস্য ও সহযোগিতাকারী ব্যক্তিদের কিভাবে আটক ও ক্ষতি করা যায়। মূলত জনসংহতি সমিতিকে নিমূল করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সেই উদ্দেশ্যেই সেনাবাহিনী এই গোপন বৈঠকের আয়োজন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই গোপন বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় ১৩ আগস্ট ২০২১ বিকাল ৩:০০ টায় কাপ্তাই সেনা জোনের অধীন বাঙ্গালহালিয়া সেনা ক্যাম্পে।
সেনাবাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত এই গোপন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজস্থলী উপজেলা শাখার সভাপতি হ্লাগ্য মারমা (৩২), সেনামদদপুষ্ট সন্ত্রাসী সংগঠন মারমা ন্যাশনাল পার্টি (মগ পার্টি) এর সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড মংক্যচিং মারমা (৩৫) এবং সংস্কারপন্থী দলের প্রতিনিধি ও মগ পার্টির তথ্যদাতা সুইউচিং মারমা কার্বারি (৪০)। হ্লাগ্য মারমার বাড়ি রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে। মংক্যচিং মারমা মংক্যচিং মারমার বাড়ি বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের কাকড়াছড়ি পাড়া গ্রামে। সুইউচিং মারমা কার্বারির বাড়ি কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের গবছড়া পাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঞোমং মারমা (৪৮)।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই সেনা জোনের জোন কম্যান্ডার লে: কর্নেল মো: মিজানুল হক বৈঠকে বলেন, ‘রাজস্থলী ও কাপ্তাই উপজেলা থেকে জেএসএসকে যেকোনো বিনিময়ে নির্মূল করতে হবে। প্রয়োজনে জেএসএস’র সক্রিয় নেতা, কর্মী ও সহযোগীদেরকে আটক, গুম ও হত্যা করা হবে এবং করতে হবে।’
বৈঠকে সন্ত্রাসী সংস্কারপন্থী দলের সদস্য সুইউচিং মারমা কার্বারি গবছড়া পাড়া গ্রামে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান বলেও জানা যায়।