হিল ভয়েস. ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, রাঙ্গামাটি: বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় স্থানীয় বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে রাঙামাটি শহরের পর্যটন করপোরেশেনের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদেরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এইচ ই রেনজি থিউরিংক, ইউএনডিপি বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম কৃমার চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীসহ তিন জেলার প্রথাগত (হেডম্যান-কার্বারি) প্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায় বিচারের সুযোগ বাড়াতে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির (জাতিসংঘ সহায়তা কর্মসূচি) সহযোগিতায় পার্বত্য অঞ্চলে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। প্রথম পর্যায়ের (২০০৬-২০১৫) সফল বাস্তবায়নের ভিত্তিতে, বাংলাদেশের ১ হাজার ৮০টি ইউনিয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকারের ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্বে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল দেশের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আইনিসেবা পাওয়ার সুযোগ বাড়ানো।
বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন বাড়তি আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রসারিত হতে চলেছে। এতে স্থানীয় প্রশাসন আঞ্চলিক ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীয়তাকে আমলে নেয় এবং সুবিধা বঞ্চিত জনগণের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে স্থানীয় সাধারণ মানুষ, বিশেষত নারী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন সম্ভব হবে। বর্ধিত এই আর্থিক সহায়তার ফলে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-২ প্রকল্পে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশীদারিত্বের পরিমাণ দাঁড়াল ২৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন ইউরো। অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলাম বলেন, ‘জুডিসিয়াল বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে সরকার এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষেত্রে এখানকার প্রথাগত আইন রীতিনীতি সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এ প্রকল্প সহায়ক হবে বলে আমরা করছি।