হিল ভয়েস, ২৫ নভেম্বর ২০২০, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলাধীন ফটিকছড়ি ইউনিয়নের নভাঙা-দোবাকাবা এলাকায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ বন্ধের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন ভূমির মালিক জুম্ম গ্রামবাসীরা।
গতকাল ২৪ নভেম্বর ২০২০ কাউখালিতে জুম্মদের ভূমিতে সৃজিত বাগানের গাছ কেটে নতুন এই ক্যাম্প নির্মাণ কাজ তদারকি ও তত্ত্বাবধানকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেনের কাছে এই স্মারকলিপি দেন ভূমির মালিকরা। ভূমির মালিকরা হলেন-দোবাকাবা গ্রামের লক্ষী বিকাশ চাকমা, পারুল কান্তি চাকমা, অরুণ বিকাশ চাকমা ও নভাঙা গ্রামের বুদ্ধদেব তালুকদার। স্মারকলিপি প্রদানকালে ভূমি মালিকদের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন কাউখালি ইউপির সদস্য অমল কান্তি তালুকদার, বর্তমান মহিলা মেম্বার মিনু মারমা ও সাবেক মেম্বার পাইক্রামা মারমা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, এ জমি তারা বংশ পরম্পরায় ভোগ দখল করে আসছেন। এখানে তাদের ৩০ বছরের পুরোনো বাগান বাগিচা রয়েছে। জীবন জীবিকার জন্য তারা উক্ত জমির উপর নির্ভরশীল। ক্যাম্প নির্মাণ করা হলে তারা উক্ত বাগান বাগিচার ভোগদখল থেকে বঞ্চিত হবেন, উক্ত জমিসহ আশেপাশের জমিতে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যাবে। নারীরা জ্বালানী কাঠ, বনের তরিতরকারী সংগ্রহ করতে পারবে না। এক কথায় তাদের জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটবে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ক্যাম্প নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসী বাঁধ দিয়ে নির্মিত জলাধারটিও ব্যবহার করতে পারবে না। মাছ চাষ ছাড়াও বর্মাছড়ি বাজারে গাছ ও বাঁশ পরিবহনের জন্য এই জলাধারটি ব্যবহার করা হয়।
কাউখালি সেনা ক্যাম্পের উক্ত ক্যাপ্টেন স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে বলেন, তারা অস্থায়ীভাবে সেখানে থাকবেন। ক্যাম্প নির্মাণ করা হবে না। উপরের নির্দেশ পেলে চলে যাবেন। গাছ-বাঁশ কাটার ফলে যারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর থেকে কাউখালীর ২ নং ফটিকছড়ি ইউনিয়েনের ৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত দোবাকাবা-নভাঙা এলাকায় যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে জোরপূর্বক জমি দখল করে ও বাগানের কেটে সেনা ক্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়।