হিল ভয়েস, ২১ এপ্রিল ২০২৫, বিশেষ প্রতিবেদক: রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ৪নং বড়থলি ইউনিয়নের রেইংক্ষ্যং অঞ্চলে সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে। এই অভিযানে কমপক্ষে ২০০ জন সেনা সদস্য অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে রেইংক্ষ্যংযে এ ধরনের ব্যাপক অভিযানের দুই মাস পর এটা দ্বিতীয় সামরিক অভিযান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) বান্দরবানের রুমা গ্যারিসন থেকে ৩৪ বীর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: আলমের নেতৃত্বে ১১০ জনের একদল সেনা সদস্য বড়থলি ইউনিয়নের টাইগার পাড়ায় পেট্রোলিং অভিযান চালায়।
তারপর দিন রবিবার (২০ এপ্রিল) বড়থলি ইউনিয়নের সালাং মুখে ৫০ জনের আরেকটি সেনাদল টহল দেয়। অপরদিকে রোয়াংছড়ি থেকে আরেকটি দল বৈরাক্যাছড়া ও মিতিঙ্গ্যাছড়িতে টহল অভিযান চালায়।
সেনাবাহিনীর এই অভিযান বমপার্টি খ্যাত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর বিরুদ্ধে চলছে বলে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেনাবাহিনী কর্তৃক কাউকে গ্রেফতার কিংবা ঘরবাড়ি তল্লাসী করা হয়েছে বলে জানা যায়নি।
অন্যদিকে গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) থেকে বান্দরবান জেলার আলিকদম সেনানিবাসের একদল সেনা কর্তৃক থানচি উপজেলার ১নং রেমাক্রী ইউনিয়নে অপারেশন শুরু করেছে। এ অভিযানে রেমাক্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশোথুই মারমাসহ তিনজনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে রেমাক্রি ইউনিয়নের নারিকেল পাড়ায় বাংকার খনন করে সেনা সদস্যরা অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। আর গত রবিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ৬টি গাড়ি যোগে আলিকদম সেনানিবাস থেকে আরো একদল সেনা সদস্য রেমাক্রী ইউনিয়নে পৌঁছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বড়থলি ইউনিয়নস্থ রেইংক্ষ্যং ভ্যালীতে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়েছে। উক্ত অভিযানে রুমা সেনানিবাস, বান্দরবান জোন ও বিলাইছড়ি জোন থেকে কমপক্ষে চার/পাঁচ শত সেনা সদস্য এই অভিযান অংশগ্রহণ করেছিল। রুমা গ্যারিসন থেকে রুমা জোন কমান্ডার লে: কর্নেল আলমঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।