রেইক্ষ্যংয়ে সেনাবাহিনীর ব্যাপক সামরিক অভিযান

হিল ভয়েস, ২ মার্চ ২০২৫, বিশেষ প্রতিবেদক: রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নস্থ রেইক্ষ্যং ভ্যালীতে ব্যাপক সামরিক অভিযান চলছে। রুমা সেনানিবাস, বান্দরবান জোন ও বিলাইছড়ি জোন থেকে কমপক্ষে চার/পাঁচ শত সেনা সদস্য এই অভিযান অংশগ্রহণ করেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সেনা সদস্যরা রেইক্ষ্যং ভ্যালীর বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিতে থাকে।

আর একই সময়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুমা গ্যারিসন থেকে স্বয়ং রুমা জোন কমান্ডার লে: কর্নেল আলমঙ্গীর হোসেন ১০৫ জনের সেনা সদস্য নিয়ে টাইগার পাড়ায় রওনা দেন এবং তার পরদিন (২৫ ফেব্রুয়ারি) কাইঙ্গোছড়া পাড়া দিকে রওনা দেন। সেই গ্রুপটি এখনো কাইঙ্গোছড়া পাড়াতে অবস্থান করছে।

সেই সঙ্গে রুমা জোনের টুআইসি মেজর সারকার আহম্মেদ আরো ৭০ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি রওনা দেন রুমা জোন থেকে। তিনি তার গ্রুপ নিয়ে এখন বড় ছালাংছুড়ি মুখে অবস্থান করছেন।

এদিকে রামেডং ক্যাম্প থেকে গত ২৪ ফ্রেবুয়ারি ৫০ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে জনৈক মেজরের নেতৃত্বে বর্তমানে বড় ছালাংছুড়ি মাথায় অবস্থান করছে এবং রামেডং ক্যাম্প থেকে ৫০ জনের আরো একটি অভিযানরত গ্রুপ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ছালাংছড়ি উদ্দেশে রওনা করলে বর্তমানে ঐ দলটি ছোট ছালাংছড়ি অবস্থান করছে।

আরো একটি ৮০ জনের অভিযানরত গ্রুপ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বান্দরবান সদর জোন থেকে রোয়াংছড়ি উপজেলার পাইক্ষ্যং পাড়া হয়ে বৈরাগ্যছড়া পাড়াতে যান। একই দিনে আর একটি ৬০ জনের গ্রুপ বান্দরবান সদর জোন থেকে বৈরাগ্যছড়া পাড়াতে যোগ দেয়। বর্তমান সেই সেনা সদস্যরা বৈরাগ্যছড়া পাড়া ও মিতিঙ্গাছড়ি পাহাড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করছে।

কেএনএফের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হচ্ছে। অভিযানের শুরুতেই ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই জন বম ব্যক্তিকে সেনাবাহিনী আটক করেছে বলে জানা গেছে। এই অভিযানের ফলে এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বড়থলি ইউনিয়নের গঙ্গাছড়া তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া, চালছড়া মারমা পাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের জুম্ম গ্রামবাসীরা সেনাবাহিনীর পোর্টার হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। ফলে স্থানীয় জুম্ম গ্রামবাসীদের জুমচাষের কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

More From Author