হিল ভয়েস, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের রাজধানী নিউ দিল্লীতে পিস ক্যাম্পেইন গ্রুপ ও প্রজ্ঞা স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
নিউ দিল্লীর ভারতীয় পার্লামেন্ট ভবনের সন্নিকটস্থ গ্রীনজোন এলাকার কনষ্টিটিউশন ক্লাবে সোমবার (২ ডিসেম্বর) “বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি এবং হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান সংখ্যালঘুদের চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক উক্ত আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
শ্যাম প্রসাদ মুখার্জী রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডক্টর অনির্বাণ গাঙ্গুলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রজ্ঞা স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিসেস সৌম্যা, ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের অফিসার ডক্টর এ কে পান্ডে, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ডক্টর অমিত শ্রীবাস্ত, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর-পূর্ব ভারত ছাত্র সংগঠনের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা অভিলাষা সইকিয়া এবং দিল্লী চাকমা স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সভাপতি মিলনি চাকমা প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথি হিসেবে রাজ্য সভার এমপি ডক্টর সত্যনারায়ণ জাতিয়া উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়ার কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তিনি এক ভিডিও বার্তা দিয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভার শুরুতে পিস ক্যাম্পেইন গ্রুপ কর্তৃক প্রকাশিত “বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি এবং হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান সংখ্যালঘুদের চ্যালেঞ্জ” নামক একটি রিপোর্ট উন্মোচন করেন অনির্বান গাঙ্গুলী। তিনি আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
আলোচসা সভায় মুখ্য বক্তার বক্তব্যে পিস কম্পেইন গ্রুপের পরিচালক করুণালংকার ভিক্ষু পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে একটি প্রামাণ্য ভিডিও চিত্রসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও পরিস্থিত নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।
সামাজিক ও মানবাধিকার কর্মী ডক্টর সুবোধ কুমার বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
আলোচনা সভায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সরকারী আইনজীবী সচীন কুমার শ্রীবাস্তব-এর নেতৃত্বে একটি দল, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর সানজি চোটক-এর নেতৃত্বে শিক্ষক ও ডক্টর এস কে শুক্লাসহ অনেক বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, সামাজিক কর্মকর্তা, এনজিও ও ছাত্রদের শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।